নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারই টুইটার অধিগ্রহণের যাবতীয় চুক্তি সম্পন্ন করেছেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক (Elon Musk)। আর টুইটার অধিগ্রহণের পরই সিইও পরাগ আগরওয়ালসহ একাধিক শীর্ষ কর্তাদের সংস্থা থেকে বের করে দিয়েছেন এলন। আর মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের পর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় কী কী পরিবর্তন আসতে পারে তা নিয়ে দ্বিধায় টুইটার ব্যবহারকারীরা। এই আবহে ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তির প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানালেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিয়মের কোনও পরিবর্তন হবে না।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই প্রযুক্তি সংস্থার মালিকানা যার হাতেই থাকুন না কেন ব্য়বহারকারীদের জন্য নিয়ম সেই একই থাকবে। ফলে ভারতীয় আইন ও নিয়মকানুনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলার প্রত্যাশা থেকেই যায়।’ টুইটার কেনার চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই টেসলা কর্তা এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্য়াটফর্মে একাধিক পরিবর্তন ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। মাঝে এই চুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন এলন। তারপর এই মামলায় আদালতেও ওঠে। অবশেষে আইনি লড়াইয়ের মাঝেই টুইটার কিনে নিলেন এলন মাস্ক। আর টুইটার হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মনে করে হচ্ছে টুইটার ব্যবহারকারীদের উপর থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত,টুইটারের কিছু নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনের জন্য গত বছর কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। সেই কঙ্গনাই এলনের এই টুইটার কিনে নেওয়ার প্রশংসা করেছেন এবং তাঁর অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করার আবেদন করেছেন এলনের কাছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কৃষক আন্দোলনের সময় সঙ্গে জড়িত এরকম কিছু টুইটার পোস্ট এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওযার জন্য সংস্থার কাছে দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্র। এ বছর শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল টুইটার। এবার টুইটারের হাত বদল হতে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে তা নিয়ে ধন্দে ব্যবহারকারীরা।