Indian Demography : দেশের সামনে অনন্য সুযোগ, জনসংখ্যার এই ‘বিস্ফোরণ’ কি সাপে বর হবে ভারতের জন্য?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jun 16, 2022 | 11:39 PM

Indian Demography : বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে জনসংখ্যার নিরিখে ২০২৮ সালেই চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। এই জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণে অবশ্য ভারত অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে! বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ার পাশাপাশি ভারত অন্যতম 'তরুণ' দেশও হতে চলেছে এই সময়কালে।

Indian Demography : দেশের সামনে অনন্য সুযোগ, জনসংখ্যার এই বিস্ফোরণ কি সাপে বর হবে ভারতের জন্য?
প্রতীকী ছবি (সৌজন্যে : PTI)

Follow Us

বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে জনসংখ্যার নিরিখে ২০২৮ সালেই চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। এই জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণে অবশ্য ভারত অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে! বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ার পাশাপাশি ভারত অন্যতম ‘তরুণ’ দেশও হতে চলেছে এই সময়কালে। আর তার অর্থ, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসক্ষম জনসংখ্যা হবে ভারতে। ভারতের এই জনসংখ্যাগত পরিবর্তন শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেই বছরই ভারতের কর্মসক্ষম জনসংখ্যা ‘নির্ভরশীল জসংখ্যা’ (০-১৪ এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে) থেকে বেশি হয়। জনসংখ্যার এই অনুপাত ২০৫৫ সাল পর্যন্ত থাকবে। এবং এই সময়কালে ভারত অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পাবে। তবে এই সুযোগ ভারত কাজে লাগাতে পারবে কি না, এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

এই বিষয়ে টিভি৯-কে প্রফেসর ইরুদয়া রাজন বলেন, ‘ভারতকে এই সময়কালের সর্বোচ্চ ফায়দা তুলতে হলে মূলত তিনটি বিষয়ে নজর দিতে হবে – শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান লাভজনক হতে হবে এবং ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে একটি সচেতন অভিবাসন নীতি থাকতে হবে। পাশাপাশি ভারতীয়দের বিদেশে পাঠাতে হবে। তাতে প্রচুর দক্ষতা বৃদ্ধি হবে।’ প্রফেসরের কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, জনসংখ্যার ‘লাভ’ স্বয়ংক্রিয় ভাবে হবে না। এর জন্য খাটতে হবে। কোভিড পরবর্তী সময় ভারতের জন্য বড় সুযোগ নিয়ে এসেছে। ২০১১ সালে ভারতের গড় বয়স ছিল ২৪। বর্তমানে গড় বয়স ২৯। ২০৩৬ সালে এই গড় বয়স গিয়ে ঠেকবে ৩৬ বছরে। এদিকে এই সময়কালে নির্ভরশীল জনসংখ্যার অনুপাত ৬৫ থেকে কমে ৫৪ শতাংশ হয়েছে। তবে জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি হয়নি। সিঙ্গাপোর, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলি এই কাজটা খুব ভালো মতো করে দেখিয়েছে। এবং এর ফলে এই দেশগুলি অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে।

এই জনসংখ্যার লাভ তুলতে গেলে ন্যাশনাল ট্রান্সফার অ্যাকাউন্টসের মূল্যায়ন করা অত্যাবশ্যক৷ এনটিএ পদ্ধতি দেখায় যে কীভাবে ভারতের মাথা পিছু খরচ এশিয়ার প্রথম সারির দেশগুলির থেকে কম। ভারতের এক শিশুর মাথা পিছু খরচ চিনের শিশুর তুলনায় অনেকটা কম। তবে এই খামতিগুলি বুঝতে আমাদের এনটিএ আপডেট করা প্রয়োজন। তার ফলে রাজ্য ভিত্তিক এনটিএ-র ধারনা মিলবে। এদিকে ভারতে যেহেতু খুব কম বয়স থেকেই উপার্জন শুরু হয়ে যায়, তাই মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনার পরই দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিৎ পড়ুয়াদের। শিক্ষার মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্যও দূর করতে হবে দেশে। কারণ দেশকে এগোতে হলে মহিলাদেরও অবদান প্রয়োজন আছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ প্রয়োজন। ভারতের জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ খরচ করা হয় স্বাস্থ্য খাতে। ভারতীয়রা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলেই কর্মসক্ষম জনসংখ্যা আরও বেশি করে উৎপাদন খাতে হাত লাগাবে। দেশের অর্থনীতি লাভবান হবে।

Next Article