CJI DY Chandrachud: ‘সভ্য সমাজে এমন হয় না’, শেষদিনে বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে বড় রায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
Bulldozer Justice: মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনগণের বাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যও এই নিয়ম মানতে বাধ্য।"
নয়া দিল্লি: আজ, ১০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তার আগে শেষ শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে যে ‘বুলডোজার অ্যাকশন’ চলছে, তার প্রতিবাদ করে বললেন, সভ্য নাগরিক সমাজে, যেখানে আইন দ্বারা সমাজ পরিচালিত হয়, সেখানে ‘বুলডোজার জাস্টিস’ কোনওভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
উত্তর প্রদেশে এক সাংবাদিকের পৈত্রিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মামলাই শেষ শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি হিসাবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনগণের বাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যও এই নিয়ম মানতে বাধ্য। কোনও বেআইনি নির্মাণ বা জমি দখলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বুলডোজারের মাধ্যমে বিচার- এটি সভ্য সমাজে অজানা। যদি রাজ্য সরকারি আধিকারিক বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।”
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে বুলডোজার অ্যাকশন বা বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে একাধিক মামলা চলছে, যেখানে অপরাধীদের বা কেবল সন্দেহের বশেই কোনও অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে বিতর্কও রয়েছে।
৬ নভেম্বরের রায়দানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বুলডোজার জাস্টিস-কে সম্পূর্ণভাবে অনস্বীকার্য বলেই উল্লেখ করেন এবং অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।