লখনউ: উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। ২০১৭-তে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী হন যোগী আদিত্যনাথ। এ বার সেই ঘাঁটি ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই আগামী কয়েক মাস প্রচারে কোনও খামতি রাখতে চায় না পদ্ম শিবির। ৬ মাস ধরে ১০০ টির বেশি কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চান নেতারা।
আগামিকাল ৯ অগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। জেলা পঞ্চায়েত ও ব্লক পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যানদের একটি বৈঠক দিয়ে শুরু হবে সেই কর্মসূচি। আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই কর্মসূচি চলবে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল। তিনি জানান, আগামী ৬ মাস ধরে যুব সম্প্রদায়, কৃষক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বড় আকারে অনুষ্ঠান করার উদ্যোগও নিয়েছে বিজেপি।
বনশন জানান, ৯ অগস্ট পালিত হবে অগস্ট ক্রান্তি দিবস। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হবে, ওই দিন সেই বিষয়ে আলোচনা করবেন । বিভিন্ন জেলায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি পরিস্কার করা হবে, মাল্যদানও করা হবে। ১৫ অগস্ট পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। ১০ থেকে ২০ অগস্টের মধ্যে ৪০৩টি বিধানসভায় বিজেপির বৈঠক হবে। ২৩ অগস্ট থেকে শুরু হবে বুথ বিজয় অভিযান। ওই সময়ের মধ্যেই বুথ সমিতিগুলি খতিয়ে দেখবে রাজ্য নেতৃত্ব। এ ছাড়া ২৫ সেপ্টেম্বর পালিত হবে বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দীন দয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম বার্ষিকী।
এ ছাড়া, সাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে সে রাজ্যে ‘জন আশীর্বাদ যাত্রা’ শুরুর নির্দেশ আগেই দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সাধারণ মানুষের থেকে আশীর্বাদ পেতে ৩০০-৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রা করবেন তাঁরা। ৪-৫টি জেলার পেরিয়ে সেই যাত্রা এগোবে। এই যাত্রার মাধ্যমে এক কোটি মানুষের সঙ্গে সংযোগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন অনুপ্রিয়া পটেল, কৌশল কিশোর, এসপি বাঘেল, পঙ্কজ চৌধুরী, বিএস ভার্মা, অজয় কুমার, ভানু প্রতাপ সিং ভার্মা। তাঁদের নিয়েই এই যাত্রা হবে। আরও পড়ুন: পাহাড়ের ঢালে আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল হোটেলের একাংশ