Supreme Court: ‘আমি জীবিত’, ‘খুন’ হয়ে যাওয়া কিশোরের আর্তি সুপ্রিম কোর্টে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Nov 11, 2023 | 7:38 PM

UP Boy: জীবিত অবস্থাতেই 'মৃত' হয়ে গিয়েছিল ১১ বছরের কিশোর। ওই কিশোরের বাবা-ই তাকে 'মৃত' বলে চাউর করে দেয়। শুধু তাই নয়, ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে শ্বশুর ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করে। অবশেষে জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কিশোর।

Supreme Court: আমি জীবিত, খুন হয়ে যাওয়া কিশোরের আর্তি সুপ্রিম কোর্টে
প্রতীকী ছবি।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নয়া দিল্লি: জীবিত অবস্থাতেই ‘মৃত’ হয়ে গিয়েছিল ১১ বছরের কিশোর। ওই কিশোরের বাবা-ই তাকে ‘মৃত’ বলে চাউর করে দেয়। শুধু তাই নয়, ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে শ্বশুর ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করে। সেই মামলা আদালতেও ওঠে। অবশেষে জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় কিশোর। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ওই কিশোরের আর্ত চিৎকার, ‘আমি জীবিত’ (I am alive)।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবিত অবস্থাতেই ‘মৃত’ কিশোরের নাম অভয় সিং। উত্তর প্রদেশের পিলভিটের বাসিন্দা অভয়কে মৃত বলে দাবি জানায় খোদ তার বাবা। তার শ্বশুর ও শ্যালক মিলে অভয়কে খুন করেছে বলে নিউরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই ব্যক্তি। যদিও তাঁদের সঙ্গেই থাকত অভয়। তারপর এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা উঠলে অভয় নিজেকে জীবিত দাবি জানিয়ে পিটিশন দায়ের করে। কিন্তু, সেই পিটিশন গৃহীত হয়নি। বাধ্য হয়ে সে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে অভয় জানিয়েছে, দাদু ও মামা তার উপর কোনও অত্যাচার করেনি। বরং তার বাবার মারধরে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সে ছেলেকে নিজের হেফাজতে নিতে চাইলে অভয় যেতে চায়নি। সেই রাগেই ওই ব্যক্তি শ্বশুর ও শ্যালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে।

অভয়ের আইনজীবী কুলদীপ জউহারি জানান, ২০১৩ সালে অভয়ের বাবার মারধরে তার মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই সে মামাবাড়িতে থাকে। পণের দাবিতেই অভয়ের বাবা স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ।

দাদু ও মামাদের বিরুদ্ধে মামলা ক্লোজ করার আবেদন জানিয়ে কিশোরের আর্তি, “আমি দাদুর কাছেই নিরাপদ রয়েছি। আমি তাঁদের কাছেই থাকতে চাই।” কিন্তু, পুলিশ তার মামা, দাদুদের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ অভয়ের।

বাবা হয়ে জীবিত ছেলেকে মৃত করে দেওয়ার ঘটনায় হতবাক শীর্ষ আদালতও। তবে এই ঘটনায় পিলভিটের পুলিশ সুপারের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। তবে আপাতত ওই কিশোর এবং তার দাদু ও মামাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারিতে।

Next Article