নয়া দিল্লি: হাতে বেশি সময় নেই, সামনেই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচারও। কীভাবে বাকি কাজগুলি শেষ করা হবে, তা নিয়েই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী বছর উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে এবং কীভাবে তা পরিচালন করা হবে, তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
জানা গিয়েছে, অমিত শাহের এই বৈঠকে যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বতন্ত্র দেব সিং ও সুনীল বনসল। সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচনে কাদের প্রার্থী করা হবে, তার পাশাপাশি মন্ত্রিসভা ও দলীয় সংগঠনের সম্প্রসারণ সম্পর্কেও আলোচনা হয় এই বৈঠকে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক।
নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথের বিরুদ্ধে সাংসদ-বিধায়কদের যে অভিযোগগুলি ছিল, সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। গত বছরেই দলীয় সূত্রে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও একা চলার নীতি সামনে আসে। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা ও গঙ্গায় দেহ ভেসে আসা ঘিরেও দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। নির্বাচনের আগেই সেই পুরনো গরিমা ফিরে আনতেই বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ।
এ দিকে, বিরোধী সমাজবাদী পার্টি একের প এক ছোট দলগুলিকে নিজেদের সঙ্গে জোটে আবদ্ধ করায় বিজেপির তরফেও আপনা দল ও নিশাদ সমাজের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনে জিতলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আপনা দলের প্রার্থীকে জায়গা দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রিসভার রদবদলের কথা চললেও মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীদের মত বিরোধের কারণেই তা বাস্তবে করে দেখানো যায়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পর এ বার চলতি বছরেই উত্তর প্রদেশ মন্ত্রিসভাতেও বদল আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন গঙ্গায় দেহ ভাসাকে কেন্দ্র করেই চলতি বছরে দূরত্ব বেড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের মধ্যে। এমনকি আদিত্য়নাথের জন্মদিনেও টুইটে শুভেচ্ছা জানাননি। পরে অবশ্য দলের তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথকে। পরে অবশ্য একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সেই দূরত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে উত্তর প্রদেশ নির্বাচন। সেই কারণেই এক বছর আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। আরও প়ডুন: শুক্র সকালেই মুখোমুখি সোনিয়া-মমতা, ভার্চুয়াল বৈঠকে সীতারামকেও চাইছে কংগ্রেস