শুক্র সকালেই মুখোমুখি সোনিয়া-মমতা, ভার্চুয়াল বৈঠকে সীতারামকেও চাইছে কংগ্রেস
সোনিয়ার উদ্যোগে ডাকা এই বৈঠকে সিপিএম-তৃণমূল কাছাকাছি আসতে পারে, ফের একবার এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
নয়া দিল্লি: জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে শুরু হয়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূলের নৈকট্যের এক নতুন অধ্যায়। শুক্রবার ফের কথা হবে সোনিয়া-মমতার। তবে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও প্রতিনিধি পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। ফলে সোনিয়ার উদ্যোগে ডাকা এই বৈঠকে সিপিএম-তৃণমূল কাছাকাছি আসতে পারে, ফের একবার এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তবে সূত্রের দাবি, সিপিএমের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হিসেবে এই বৈঠকে খোদ সীতারামের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। পাশাপাশি অবিজেপী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
তবে বাংলার বিধানসভা বাম শূন্য হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি বিরোধী ভার্চুয়াল মঞ্চে সিপিএম-তৃণমূলের উপস্থিতি অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। সাম্প্রতিক দিল্লি সফরে মমতা তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠকে দাবি করেছিলেন, বামেরা আগে স্পষ্ট করুক তাদের চোখে কে বড় শত্রু। বিজেপি না তৃণমূল? এর কিছুদিন আগেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ইঙ্গিত দেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী মঞ্চে থাকতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। সূর্যকান্ত মিশ্র আবার কবুল করে নেন যে ‘বিজেমূল’-এর মতো চটুল শব্দের আমদানি ভুল ছিল। তবে রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর সীতারাম জানিয়ে দেন, তাঁদের কর্মীরাও ঘাসফুলের হাতে একই ভাবে আক্রান্ত। তাই তৃণমূল কে সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। ঠিক এখানেই প্রশ্ন, বিস্তর মানসিক দূরত্ব নিয়ে কি সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে হাজির থাকবেন সীতারাম-মমতা?
কংগ্রেসের সঙ্গে মমতার অম্লমধুর সম্পর্কের বিষয়ে অজানা নন রাজনীতির সচেতকরাো। সোনিয়া ও মমতার ব্যক্তিগত সম্পর্কে চিড় না এলেও জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বৃদ্ধির সুবাদে তৃণমূল এখন বিরোধী শিবিরে অধিক মর্যাদা দাবি করছে। দিনকয়েক আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস বিকল্প হিসেবে বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই দেশে বিজেপির এই রমরমা। ঠারেঠোরে এই বার্তাই কংগ্রেসকে দিতে চেয়েছে মমতার দল। সেই লেখা প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আরও পড়ুন: এক ঢিলে দুই পাখি! এবার ১৫ দিন অন্তর SSKM-এ কয়েক ঘণ্টার জন্য যাবেন মমতা, কেন?