AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bizarre: বিয়ের সাজে অপেক্ষায় কনে, হঠাৎ একটা ফোন, জ্ঞান হারালেন পাত্রী, বাবা ছুটলেন থানায়…কারণ জানলে ভিড়মি খাবেন

Bizarre: ফোনের অপর প্রান্তে হবু বর। হবু বরের কথায় শুনে আঁতকে ওঠে কনে। ফোন করে হবু বর কনেকে বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু কেন হঠাৎ এই ফোন?

Bizarre: বিয়ের সাজে অপেক্ষায় কনে, হঠাৎ একটা ফোন, জ্ঞান হারালেন পাত্রী, বাবা ছুটলেন থানায়...কারণ জানলে ভিড়মি খাবেন
| Updated on: Feb 16, 2025 | 7:34 PM
Share

হাতে মেহেন্দি, পরনে টুকটুকে লাল পোশাক, বসে আছে কনে। বর আসবে একটু বাদেই। জীবনের অন্যতম সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ দিন। কনের পরিবার বরযাত্রীকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎই বেজে উঠল কনের মোবাইল। ফোন ধরতেই যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত।

ফোনের অপর প্রান্তে হবু বর। হবু বরের কথায় শুনে আঁতকে ওঠে কনে। ফোন করে হবু বর কনেকে বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করার পরামর্শ দেয়।

কিন্তু কেন হঠাৎ এই ফোন?

হবু বর জানায়, বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। এই কথা শুনেই অজ্ঞান হয়ে যান কনে। পরে, কনের পরিবার খবর পেয়ে থানায় পৌঁছে সত্য জানতে পারে। এর পরেই বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

কোন সত্য সামনে এল?

গত বছর নভেম্বর মাসেই নিউ আগ্রার যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাজগঞ্জের বাসিন্দা অম্বার শর্মা নামে এক যুবকের সঙ্গে। অম্বর শর্মা পেশায় এক অটোমোবাইল কোম্পানির ম্যানেজার। ১০ই ফেব্রুয়ারি তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। দয়ালবাগ রোডের একটি রিসোর্টে বিয়ের অনুষ্ঠানের সমস্ত ব্যবস্থা করে কনের পরিবার। তাঁদের নিকটাত্মীয় থেকে বন্ধুবান্ধবরা অতিথি হিসাবে নিমন্ত্রিত ছিলেন।

সন্ধে ৬টায় বরযাত্রীর আসার কথা। বিকেল ৩:১৫ নাগাদ,হবু বর কনেকে ফোন করে নিজের সম্পর্কে সব সত্য জানান। এমনকি সে এও বলে যে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না। বর্তমানে তিনি তাজগঞ্জ থানায় রয়েছেন। কনেকে বিয়ের দিন পরিবর্তনের পরামর্শ দেন যুবক।

এই কথা শোনার পর, ভেঙে পড়ে কনে। কনের বাবা তাজগঞ্জ থানায় পৌঁছে যা দেখেন তাতে তাঁর চোখ কপালে ওঠে। এক যুবতী সেখানে কোলে তাঁর ছোট শিশুকে নিয়ে বসে ছিল। যুবতীর দাবি, অম্বারের সঙ্গে একটি মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের, তাঁরা লিভ-ইন করছিলেন। হঠাৎই এক দিন খবর পান তাঁর প্রেমিক তাঁকে ছেড়ে অন্য কোথাও বিয়ে করতে চলেছেন। এই তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলা দিল্লি থেকে এখানে চলে আসেন। পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই যুব্লের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কনে। পরিবারের সদস্যরা জানান, সোসাইটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ওই যুবকের সম্পর্কে খবর পান তাঁরা। যুবকের বায়োডাটা দেখে পছন্দ হলে বিয়ের কথাবার্তা এগোয়। কনের আত্মীয়রা জানান, তার আগে অবধি যুবকের আগের বিয়ে সম্পর্কে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না।