বিপদে বুঝতে পেরেছিলেন আগেই, তবু নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। মাত্র ২৬ বছর বয়স যুবকের। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা বলক রাম। শ্বশুর বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও বিপদে আছেন বুঝতে পেরে ঘটনার আগেই একটি ১৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন তিনি। যেখানে তিনি বলেন, “তিনি বিপদে রয়েছেন।”
সেই ভিডিয়োতে বলক রামকে বলেন, “আমার স্ত্রী সুধার কোনও অধিকার নেই। এঁরা আমাকে খুন করার চেষ্টা করছে। আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে রয়েছি। এবার দেখুন।” এরপরেই বন্ধ হয়ে যায় ভিডিয়ো। তারপরেই সেই বাড়ি থেকে শাড়িতে ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বলকের দেহ।
আট বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুধা এবং বলক রামের। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। বলকের বাবা রাম প্রকাশ জানান, সুধা ১৫ দিন আগেই বাপের বাড়ি গিয়েছিল। যে দিন এই ঘটনাটি ঘটে, সেদিন বলক রাম তাঁর স্ত্রী সুধাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে যান। যদিও সেই কথা বলকের পরিবারে কেউ জানত না। বাবার অভিযোগ, ছেলেকে ওই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
রাম প্রকাশ বাবু বলেন, “যদিও কোনও ঝামেলা ছিল না তবু আমার পুত্রবধূকে আনতে যাওয়ার সময় আমাকে গ্রামের প্রধানকে সঙ্গে করে আনতে বলা হয়েছিল। পরে, আমাদের জানানো হয় আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।”
পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হলে তাঁরা বালক রামকে মহারাণী লক্ষ্মীবাই মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গোপীনাথ সোনি জানিয়েছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও সুধার বাবা-মা দাবি বালক রাম আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা কোনও ভুল কাজ করেননি।