নয়া দিল্লি: দোতলা বাড়ি। তারই বারান্দা থেকে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। কোনওমতে তাঁর হাত ধরে রেখেছেন স্ত্রী। নীচে দা়ঁড়িয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলেরই মনে ভয়, এই বুঝি পড়ে গেলেন! অবশেষে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করাতে ইতি পড়ল রোমহর্ষক চিত্রপটের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বারান্দা থেকে ঝুলন্ত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের ভিডিয়ো।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যায়, দোতলা একটি বাড়ির বারান্দা থেকে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাই হাত ধরে রয়েছেন, কোনওমতে হাত টেনে উপরে তোলার চেষ্টা করছেন। জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের লোনি অঞ্চলের ইকরাম নগরের বাসিন্দাকে তাঁর স্ত্রী হঠাৎই বারান্দা থেকে ঝুলতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। এরপর চিৎকার-চেঁচামেচি করে পরিবারের বাকি সদস্যদের ডেকে আনেন। নীচেও স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সাহায্যেই কোনওমতে ওই ব্যক্তিকে উপরে তোলা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, ওই ব্যক্তির সকালেই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হয়। এরপরই তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। সরাসরি বারান্দা থেকে ঝাঁপ নয়, সেখান থেকে গলায় শাড়ি জড়িয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ই পা পিছলে যায় এবং বারান্দা থেকে ঝুলতে থাকেন। পরে তাঁর স্ত্রীই দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মা্সেও এইরকমই একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, একজন মহিলা তাঁর ছেলেকে দশতলার বারান্দা থেকে শাড়ি বেঁধে নীচের তলে পাঠিয়েছেন। এত উচু একটি বিল্ডিং থেকে কেন নিজের ছেলেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, তা জানতে চাইলে জানা যায়, ওই মহিলার একটি শাড়ি নীচের তলায় বারান্দায় পড়ে গিয়েছিল। যেহেতু সেই তলে কেউ থাকেন না, তাই বারান্দা থেকেই শাড়ি-চাদর বেঁধে নিজের ছেলেকে ঝুলিয়ে দেন।