নয়াদিল্লি: স্কুলের রান্না হওয়া মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ১৫ জন ছাত্রী। কিন্তু ছাত্রীরা অসুস্থ হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ডাকা হয় এক তান্ত্রিককে। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভেবেছিলেন কোনও ‘অশুভ আত্মা’ তাদের মধ্যে ভর করেছে। সে জন্যই তান্ত্রিক ডাকা হয়। পরে খবর পেয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ এসে অসুস্থ ছাত্রীদের ভর্তি করে হাসপাতালে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এমনকি সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মাহোবা জেলার মহুয়া গ্রামের সরকারি স্কুলে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য যদি সঠিক হয়, তাহলে অসুস্থ ছাত্রীদের মানবাধিকার গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ তান্ত্রিককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সমস্যা সমাধানের জন্য। সরকারি স্কুলে অন্ধবিশ্বাসের চর্চা কখনই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত মানবাধিকার কমিশনের। সে জন্যই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে উত্তর প্রদেশের সরকারি স্কুলের ১৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশি হস্তক্ষেপের পর তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। চার সপ্তাহের মধ্য রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সে রাজ্য আগামী দিনে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। মানবাধিকার কমিশন দেখেছ, নিম্নমানের মিড-ডে মিলের খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। কিন্তু সে বিষয়ে নজর না দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, এমন পদক্ষেপ করেছে যা গ্রহণযোগ্য নয়। অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে মনোভাব গড়ে তুলতে শিক্ষা দেওয়া উচিত স্কুলে। কিন্তু সেই স্কুল নিজেই অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী।