বরেলি: সন্ধ্যাবেলা টিউশন পড়তে যেত ১৭ বছরের কিশোরী। সে সময় দুই যুবক তাঁকে প্রায়শই তাঁকে বিরক্ত করত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই দুই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাতে বাধা দেওয়ায় নাবালিকাকে চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে ওই কিশোরীর দুই পা এবং একটি হাত কাটা পড়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যৌন হেনস্থায় বাধা দেওয়ায় মেরে ফেলার চেষ্টার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বরেলি শহরে। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে ওই এলাকায়। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। সেখানকার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত এক যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, দুই যুবক প্রায়শই তাঁদের মেয়েকে বিরক্ত করত। তা নিয়ে আগে থানায় অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গুরুতর আহত অবস্থায় রেললাইনের ধার থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তখন তার দুই পা এবং এক হাত কাটা পড়েছিল। বরেলির পুলিশ সুপার রাহুল ভাটি ঘটনা নিয়ে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার টিউশন থেকে ফেরার পথে দুই যুবক তার সঙ্গে অসভ্যতামি করছিল। তাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতে বাধা দেওয়ায় দুই যুবক চলন্ত ট্রেনের সামনে ঠেলে দেন কিশোরীকে। এর জেরেই তার হাত-পা কাটা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার কথা গিয়েছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কানেও। বরেলির জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আহত কিশোরীকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এবং তার চিকিৎসায় যাতে কোনও গাফিলতি না হওয়ায় সে বিষয়েও জেলা প্রশাসনকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই কিশোরীর বাবা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।