বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল ধুমধাম করেই। আলোর রোশনাই, ব্যান্ডের বাজনা, এলাহি খাবার দাবারের আয়োজন সবই ছিল। বিয়ের জন্য সেজে গুজে বসে রয়েছেন কনে। বরপক্ষকে আপ্যায়ন করতে তৈরি কনের পরিবারের লোকরাও। নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরেই বর এসে উপস্থিত। একে বারে ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে নাচতে নাচতে বিয়ে করতে এসেছেন বর। ব্যান্ড পার্টির নামে তখনও মশগুল বরযাত্রীরা। কিন্তু তবুও হল না সেই বিয়ে। কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষের মধ্যে সামান্য মত বিরোধ। কিন্তু মত বিরোধের কারণ সামান্য হলেও তুমুল বচসা হয় দুপক্ষের বরযাত্রী ও বরের তুমুল উদ্ধত আচরণ মেনে নিতে পারেননি কনের বাড়ির লোকেরা। শব মিলিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেও চার হাত এক হল না। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরে।
বিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া ওই বরের নাম ধর্মেন্দ্র। তার বাড়ি উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদের কামপিলে। সেখান থেকেই সাহারানপুরের মির্জাপুরে বিয়ে করতে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেখানেই বাড়ি কনের। কামপিলে থেকে মির্জাপুরে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে আসেন তাঁরা। এর পর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তখন ব্যান্ডপার্টি লোকেরা তাঁদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিতে। কিন্তু সেই টাকা দিতে রাজি হয়নি কনে পক্ষ। তখনই বেজায় চটে যান বর।
বিষয়টি নিয়ে এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। বচসা চরমে উঠলে বিয়ের মণ্ডপ থেকে উঠে পড়েন বর। উত্তেজনায় বিয়ের গলার হারও ছিঁড়ে ফেলেন বর। সব মিলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে বেজায় বিরক্ত হয় কনের বাড়ির লোকেরা। বরপক্ষের রণংদেহি মেজাজ দেখে ওই বাড়িতে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হননি তাঁরা। এরপরই ভেঙে যায় বিয়ে। বিয়েকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশে যে সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে অলোচনা হয় বিস্তর।