লখনউ: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর (euthanasia) আবেদন জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা। ওই মহিলা তাঁর স্বামী, সৎ ছেলে ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে চিঠি লিখে রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন। চিঠিতে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তার ওপর যে নির্মম অত্যাচার হয়েছে, তাঁর বিচার পাওয়ার আশা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।
দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমি বিচার পাওয়ার সব আশা ছেড়ে দিয়েছি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পুরণপরু কোতওয়ালি থানার এফআইরে নাম থাকা একজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেনি। তারা চুপ থাকার জন্য আমার ওপর চাপ তৈরি করছে এবং হুমকি দিচ্ছে নইলে পরিণতি খারাপ হবে।”
নির্যাতিত মহিলা জানিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদের ৩ বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে তাঁর সঙ্গে ৫৫ বছর বয়সী এক কৃষকের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর তাঁর সৎ ছেলে তাঁকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল এবং অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেছিল। এমনকী এই কথা কারও সামনে প্রকাশ করলে ভয়াবহ পরিনতির হুমকিও দিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তিনি চুপ থাকলেও প্রতিনিয়ত তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হত। চিঠিতে মহিলা জানিয়েছেন, তিনি গর্ভবতী হয়ে ডিএনএ টেস্ট করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে জোর করে বেসরকারি হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে গর্ভপাত করানো হয়েছিল।
মহিলা চিঠিতে জানিয়েছেন, ১৮ জুলাই তাঁকে একটি ফার্ম হাউজে নিয়ে গিয়ে স্বামীর বন্ধু, পরিবারের আত্মীয়, এবং স্বামীর দুই সহকর্মী তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। পুরণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণ আদালতে যাওয়া ছাড়া তার কোনও উপায় ছিল না। এই প্রসঙ্গে পিলভিট জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার প্রভু জানিয়েছেন এই ঘটনা ভারতীয় দণ্ড বিধির একাধিক ধারায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিলা স্বামী, সৎ ছেলে সহ এফআইআরে ৫ জনের নাম রয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। বর্তমানে ওই মহিলা তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন। তাঁর ৬ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।