নয়া দিল্লি: আর দু-দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ (Bangladesh) ও মায়ানমার (Myanmar) উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ (Mokha)। ফলে এই ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে বাংলা। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ নিয়ে কম ধোঁয়াশা হয়নি। কারও কথায় এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মোচা’, কেউ বলছে, ‘মোকা’, আবার কারও কথায়, ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মোখা’। যদিও একটি বন্দরের নামেই এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ইয়েমেন (Yemen)। এ তো গেল এই ঘূর্ণিঝড়ের কথা। এরপর কী ঘূর্ণিঝড় আসছে জানেন? সেটি কবে আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সেটির নামকরণ স্থির হয়ে গিয়েছে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) নাম হল, ‘বিপর্যয়’ (Biporjoy)। ঘূর্ণিঝড় মানেই যে বিপর্যয় ডেকে আনে, তা যেন এই নামকরণ থেকেই স্পষ্ট। এই নামকরণ করেছে পড়শি দেশ বাংলাদেশ (angladesh)। এর পরের ঘূর্ণিঝড়টির নামও স্থির হয়ে গিয়েছে (Tej)। সেটি দিয়েছে ভারত (India)।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) বা ESCAP-এর অন্তর্ভুক্ত ১৩টি দেশই পর্যায়ক্রমে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করে। দেশের বন্দরের নামে ইয়েমেন আসন্ন ঝড়টির নামকরণ করেছিল ‘মোখা’। এরপর যে ঘূর্ণিঝড়টি আসছে সেটির নাম হল, ‘বিপর্যয়’। এই নামকরণ স্থির করেছে বাংলাদেশ। আর ‘বিপর্যয়’-এর পরে আসছে ‘তেজ’। সেই নামটি দিয়েছে ভারত। ‘বিপর্যয়’-এর মতোই ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এরকম নামকরণ করেছে ভারত।
তেজ-এর পরেও আরও ৭টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম স্থির হয়ে গিয়েছে। সেই নামগুলি হল যথাক্রমে, হামুন, মিধালি, মিচাউঙ্গ, রিমাল, আসনাস ডানা, ফিনগাল। ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার এবং সৌদি আরব এই নামগুলি দিয়েছে।