AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ratan Tata: ‘রতন টাটা থাকলে এমন হত না…’, মার্কিন আইনজীবীর আক্ষেপ, কেন বললেন এ কথা?

Air India Plane Crash: গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানটি আহমেদাবাদে বিমাবন্দর ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় একজন যাত্রী বাদে বিমানের সকল যাত্রী, ক্রু মেম্বার ও পাইলট মিলিয়ে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়।

Ratan Tata: 'রতন টাটা থাকলে এমন হত না...', মার্কিন আইনজীবীর আক্ষেপ, কেন বললেন এ কথা?
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা। ডান দিকে রতন টাটা।Image Credit: PTI
| Updated on: Aug 11, 2025 | 1:34 PM
Share

নয়া দিল্লি: রতন টাটার অভাব পদে পদে বুঝছে টাটার সংস্থা? এয়ার ইন্ডিয়া, যা বর্তমানে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন, তা বিপাকে পড়েছে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার পরে। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে যেমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে, তেমনই ওই দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের পরিবারের কাছেও সমালোচনার মুখে পড়েছে। এবার নিহতদের পরিবারের হয়ে মামলা লড়াই করা মার্কিন আইনজীবী মাইক অ্যান্ড্রুজ বললেন, রতন টাটা থাকলে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় এমন দেরী হত না।

গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানটি আহমেদাবাদে বিমাবন্দর ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় একজন যাত্রী বাদে বিমানের সকল যাত্রী, ক্রু মেম্বার ও পাইলট মিলিয়ে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার পরই টাটা গ্রুপের তরফে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে। ২৬ জুলাই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে ২৫ লক্ষ টাকা অন্তর্বর্তী রিলিফ হিসাবে দেওয়া হয় ১৪৭টি পরিবারকে। তবে বাকি নিহত যাত্রীদের পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি।

৬৫টি পরিবারের হয়ে মামলা লড়ছেন মার্কিন আইনজীবী মাইক অ্যান্ড্রুজ। ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় দেরী নিয়ে তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার উপরে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন যে এই ধরনের ব্যুরোক্রেটিক প্রক্রিয়া থাকতই না যদি রতন টাটা বেঁচে থাকতেন। রতন টাটার সহানুভূতি, সহমর্মিতার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে রতন টাটা থাকলে, শোকাহত পরিবারদের এই প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হত না।

তিনি বলেন, “আমেরিকাতেও আমরা সবাই জানি রতন টাটা কে ছিলেন। তার কাজের ধরন, কর্মীদের দেখভাল করার পদ্ধতি। তাই আমাদের বিশ্বাস, আজ উনি থাকলে নিহতদের পরিবার ও কর্মীদের এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়তে হত না।”

ওই আইনজীবী আরও বলেন, “আমরা একটা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, যেখানে বয়স্ক মা শয্যাশায়ী, তার ছেলের আয়ের উপরই নির্ভরশীল ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা এখনও টাকা পাননি। এবার কী করবেন তারা? ”

প্রসঙ্গত, টাটা গ্রুপের তরফে ‘দ্য এআই-১৭১ মেমোরিয়াল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ তৈরি করেছে। নিহতদের পরিবার পিছু ১ কোটি টাকা এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের পরিকাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।