অযোধ্যা: রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের আর মাত্র দুদিন বাকি। এই অবস্থায় অযোধ্যা থেকে তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী শাখা। উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (আইন শৃঙ্খলা), প্রশান্ত কুমার বলেছেন, অযোধা জেলায় চেকিংয়ের সময় ওই তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনদের এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার এবং পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে চেকিং চলছে। অযোধ্যা জেলা থেকে ইউপি-এটিএস তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। এই সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগ পাওয়া যায়নি।”
২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনের মাত্র কয়েক দিন আগে এই ঘটনা ঘটায় উদ্বেগে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে নিশানা করতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা বলে অনুমান পুলিশের। মন্দির উদ্বোধনের আগে, উত্তর প্রদেশ সরকার গোটা রাজ্যকে বিশেষ করে অযোধ্যা জেলাকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে। অযোধ্যা শহরে জুড়ে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। শহর জুড়ে সন্দেহজনক কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে ড্রোনগুলিতে নাইট ভিশন ডিভাইস এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অযোধ্যার আইজি প্রবীণ কুমার বলেছেন, “আমরা নিরাপত্তার জন্য এনভিডি, ইনফ্রারেড ক্যামেরা এবং সিসিটিভি-সহ ড্রোনগুলিতে সমস্ত ধরণের প্রযুক্তি লাগানোর চেষ্টা করেছি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রভিন রঞ্জন সিং-ও জানিয়েছেন ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিতে শহরে কোনও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ বা জিনিস দেখতে পেলেই তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি বলেছন, “শহরে কোনও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ বা জিনিস ধরার জন্য আমরা ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করছি। কোনো ভিন্ন বা অদ্ভুত বস্তুর সন্ধানে আমরা বিভিন্ন ভবন ও বাড়ির ছাদেও নজর রাখছি।” বৃহস্পতিবারই গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়েছে রামলালার মূর্তি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে মূর্তিটি আবৃত রাখা হয়েছে। গর্ভগৃহের বাইরেও পাহারায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ এটিএস-এর কমান্ডোরা। সেখানে এতটাই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে, মাছিটিরও গলার উপায় নেই।