লখনউ: যোগীরাজ্য়ে আর মিলবে না হালাল খাবার। সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল হালাল ট্যাগযুক্ত সমস্ত খাবারে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে হালাল হালাল খাবার উৎপাদন, সংগ্রহ বা স্টোরেজ, বন্টন ও বিক্রি সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করা হল। অবিলম্বে এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। তবে রফতানির জন্য যে হালাল খাবার উৎপাদন করা হত, তার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না।
উত্তর প্রদেশ সরকারের অফিসিয়াল নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যে অবিলম্বে সমস্ত ধরনের হালাল খাবার উৎপাদন, সংগ্রহ, বন্টন ও বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যদি কেউ হালাল খাদ্যপণ্য উৎপাদন বা বিক্রি করেন এবং হালাল সার্টিফায়েড ওষুধ, মেডিক্যাল ডিভাইস বা কসমেটিক্স বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে ওই ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
যোগী সরকারের নির্দেশিকায় এই নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, খাবার সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে হালাল একটি ভিন্ন পদ্ধতি হওয়ায় খাবারের গুণমান নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যা খাদ্য সুরক্ষা আইনের ৮৯ ধারা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। খাবারের গুণমান নির্ধারণ করার অধিকার কেবল কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে।
বেশ কিছু মেডিসিন, মেডিক্যাল ডিভাইস ও কসমেটিক্স পণ্যেও হালাল সার্টিফিকেট থাকে। উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়মে কোথাও ওষুধ বা কসমেটিক্সে হালাল সার্টিফিকেশন মার্কিংয়ের নিয়ম নেই। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন, ১৯৪০-তেও এই সংক্রান্ত কোনও উল্লেখ নেই।
একটি সংস্থা ও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে, নকল হালাল সার্টিফিকেটের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার অভিযোগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড চেন্নাই, জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দ হালাল ট্রাস্ট দিল্লি, হালাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া মুম্বই, জামিয়ৈত উলামা মহারাষ্ট্র সহ একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগকে ব্যবহার করে বিক্রি বাড়ানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।