নয়া দিল্লি: দৌড়তে দৌড়তে গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে, জানিয়েছিলেন হাইওয়ের উপরে লুটপাট করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেও আটকে রেখেছে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই জানিয়েছিলেন। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে বাহিনী নিয়ে ছুটে যায় পুলিশও। গিয়ে দেখেন, হাইওয়ের ধারে পড়ে রয়েছে এক মহিলার দেহ, তাঁর গলা কাটা। প্রাথমিকভাবে ছিনতাইয়ের সময় খুন হয়েছেন ওই মহিলা, এমনটাই মনে করেছিল পুলিশ। কিন্তু তদন্তে নেমে মৃতার স্বামীর মোবাইলের সার্চ হিস্ট্রিই জানান দিল অন্য কাহিনি। কোনও ছিনতাই নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই খুন (Murder Case) করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। খুনের আগে গুগল সার্চও (Google Search) করেছিলেন কীভাবে খুন করতে হয়, তা জানতে। শনিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বিকাশ। তিনি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের মোদীনগরের বাসিন্দা। স্ত্রী সনিয়ার সঙ্গে থাকতেন তিনি। শুক্রবার হাপুরের কাছে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই কিছু দুষ্কৃতী তাদের উপরে হামলা করে বলে পুলিশকে জানান বিকাশ। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সনিয়ার গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ার কারণে খুন বলে মনে করা হলেও, বিকাশের আচরণেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিকাশ বারংবার চুরির তত্ত্ব তুলে ধরলেও, পুলিশ তাঁর মোবাইল যাচাই করতেই চোখ কপালে ওঠে। গুগল সার্চ হিস্ট্রি খুলে দেখা যায়, অভিযুক্ত গুগলে সার্চ করেছিলেন কীভাবে খুন করা যায়। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্ট থেকে তিনি বিষ কেনারও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিষ কিনতে না পেরে ফের গুগল সার্চ করেন। এবার গুগলের কাছে জানতে চান, কোথায় বন্দুক কিনতে পাওয়া যাবে। এরপরই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে শনিবার বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়।