মীরাট: অজানাকে জানার কাজে ইন্টারনেটের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন জিনিস শেখার কাজে ইউটিউবের শরণাপন্ন হন অনেকেই। ভিডিয়ো দেখে কোনও কিছু সহজে শেখা যায়। সে জন্য়ই ইউটিউবের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু কেউ কেউ খারাপ কাজের জন্য ইউটিউবের শরণাপন্ন হন। সম্প্রতি এমনই করেছেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। ইউটিউব দেখে তিনি শিখেছেন বোমা বানানোর কৌশল। সেই কৌশল আয়ত্তও করেছেন তিনি। তার পর বানিয়েছেন বোমা। প্রতিবেশী ১৭ বছরের এক কিশোরের উপর রাগ ছিল তাঁর। সেই কিশোরের উপর প্রতিশোধ নিতে চাইতেন তিনি। ইউটিউব থেকে শিখে যে বোমা তিনি বানিয়েছিলেন, সেই বোমা প্রতিবেশী কিশোরের বাড়িতে প্রয়োগ করেছেন তিনি। এর জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই কিশোর। বোমা বিস্ফোরণের জেরে কিশোরের মুখের নকশাই বদলে গিয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাগপতে। বোমা বানানোয় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বোমা বানানোয় অভিযুক্ত যুবকের নাম রণবীর সিং। ইউটিউব দেখে তিনি বোমা বানানোর কৌশল শেখেন। বাগপতের পুলিশ সুপার নীরজ জাদৌন জানিয়েছেন, তার দিয়ে ইলেকট্রিক বোমা বানানো শিখেছিলেন তিনি। ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে সেই কৌশল তিনি রপ্ত করেন। পুলিশ অফিসার বলেছেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি বোমা বানানোর পর ফাঁকা মাঠে একাধিক বার তা ফাটিয়েছেন তিনি। কী ভাবে তিনি বোমা বানানোর কৌশল শিখেছেন তা আমাদেরও অবাক করেছে। আমরা তাঁকে বোমা বানাতে বলি। এবং তিনি বানিয়েওছেন। এমনকি বোমাকে শক্তিশালী বানাতে বেশ কিছু কৌশলও যোগ করেছেন তিনি। আমি ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছি। এই ধরনের ভিডিয়ো, যা সমাজের ক্ষতি করবে তা সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে গৌতম সিং নামের ওই কিশোর। অভিযুক্ত রণবীর গৌতমের বাড়িক সদর দরজায় বোমা রেখেছিলেন। দরজা খুললেই যাতে বোমা ফাটে, সে রকম ব্যবস্থা করেছিলেন অভিযুক্ত। সেই বোমার আঘাতে আহতের মুখের একাংশের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।