Uttar Pradesh ATS: মাত্র ১৫,০০০ টাকার বিনিময়ে ফাঁস দেশের গোপন তথ্য! যোগী রাজ্যে গ্রেফতার যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 17, 2023 | 12:04 AM

Uttar Pradesh ATS: মুম্বাইয়ে কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল জনৈক আরমানের সঙ্গে। এই আরমানই তার মগজ ধোলাই করেছিল। পুলিশি জেরায় এমনই জানিয়েছে ওই যুবক।

Uttar Pradesh ATS: মাত্র ১৫,০০০ টাকার বিনিময়ে ফাঁস দেশের গোপন তথ্য! যোগী রাজ্যে গ্রেফতার যুবক
পাকিস্তানের হাতে দেশের গোপন তথ্য তুলে দিয়ে পেয়েছে মাত্র ১৫,০০০ টাকা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

লখনউ: পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর হয়ে কাজ করার অভিযোগে, মহম্মদ রইস নামে উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস। ভারতীয় সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে সে তার পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করত বলে অভিযোগ। রবিবার (১৬ জলাই) উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ রইস গোন্ডা জেলার তারাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। সেখান থেকে সে মুম্বাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানেই জনৈক আরমানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। আর এই আরমানই তার মগজ ধোলাই করেছিল। ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন চলছে বলে, তাকে উসকিয়ে ছিল।

পুলিশি জেরায় রইস দাবি করেছে, কাজের সন্ধানে সে সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আরমানের অনেক চেনাশোনা আছে বলে, সে তার সাহায্য চেয়েছিল। রইসকে আরমান জানায়, বেশি রোজগারের জন্য তার সৌদি আরবে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করলেই সে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবে। আরমান আরও জানায়, তাকে কিছু করতে হবে না। সে নিজেই রইসের নম্বর আইএসআই-এর এজেন্টদের দিয়ে দেবে। এরপর, ২০২২-এ এক বিদেশী নম্বর থেকে রইসের কাছে একটি ফোনকল এসেছিল। ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি জানিয়েছিল, তার নাম হুসেন, সে একজন পাকিস্তানি গুপ্তচর।

হুসেন নামের ওই ব্যক্তি রইসকে ভারতের সামরিক ক্যান্টনমেন্ট এবং সেনার কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য পাঠানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। রইস এই কাজে তার কয়েকজন বন্ধুকেও জড়িয়ে নিয়েছিল। এর বিনিময়ে পাক গুপ্তচরদের কাছ থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা পেয়েছিল রইস।

উত্কর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা), প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, রইসের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল উত্তর প্রদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। এরপরই তার উপর নজরদারি করা শুরু হয়েছিল। তার কার্যকলাপ অত্যন্ত সন্দেহজনক ছিল। তাকে লখনউয়ে এটিএস-এর সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারপরই রইসকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ এটিএস। রইসের বিরুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বা যুদ্ধের চেষ্টা করা, যুদ্ধের নকশা তৈরির সুবিধার্থে তথ্য গোপন করার দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ধারায় রইসের বিরুদ্ধে লখনউ এটিএস থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।

Next Article