দেরাদুন: উত্তরকাশীর ধসে পড়া সুড়ঙ্গে উদ্ধার অভিযান সফল হওয়া আর ৩-৪ ঘণ্টার বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে আর ২ মিটার খনন করলেই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাবেন উদ্ধারকারীরা। শ্রমিকরা খনন করার শব্দ শুনতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। গত সতেরো দিন ধরে আটকে পড়া ৪১ জনকে উদ্ধার করার জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কর্মীরা। উদ্ধারে সহায়তা করেছেন বিভিন্ন বিদেশী বিশেষজ্ঞরাও। আসুন চিনে নেওয়া যাক, উদ্ধার অভিযানের এই নেপথ্য নায়কদের –
আইএএস অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল
সিল্কিয়ারা টানেল ধসের দুর্ঘটনার নোডাল অফিসারের দায়িত্বে আছেন আইএএস অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল। গত ১০ দিন ধরে তিনি এই উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তিনি দুর্ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। উত্তরাখণ্ড সরকারের এই সচিবের মাধ্যমেই উদ্ধার অভিযানের প্রতি মুহূর্তের খবরাখবর নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
মাইক্রো-টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার
সুড়ঙ্গ খনন এবং উদ্ধারের বিষয়ে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে মাইক্রো-টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপারের। ১৮ নভেম্বর তিনি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পেশায় চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার কুপার, মেট্রো সুড়ঙ্গ, গুহা, বাঁধ, রেলওয়ে এবং খনির মতো বিভিন্ন নাগরিক কাঠামো সম্পর্কে তাঁর অগাধ জ্ঞান রয়েছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেল প্রকল্পের পরামর্দাতা তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইন
উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ভূমিকা তদারকি করছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল তথা এনডিএমএ দলের সদস্য সৈয়দ আতা হাসনাইন। উদ্ধারকাজের প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিচ্ছেন তিনি।
সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স
উদ্ধারকাজের প্রায় প্রথম দিন থেকেই উত্তরাখণ্ডের দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ তথা বৈজ্ঞানিক গবেষক আর্নল্ড ডিক্স। অনুভূমিকভাবে খননের জন্য যে মার্কিন অগার যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছিল, তার তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে, শ্রমিকদের নিরাপদ উদ্ধারের কামনায় সুড়ঙ্গের বাইরে স্থাপিত অস্থায়ী মন্দিরে প্রার্থনাও করেন তিনি।
ব়্যাট-হোল-মাইনিং বিশেষজ্ঞদের দল
মার্কিন অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার পর, আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করার জন্য ৮০০ মিমি চওড়া পাইপটি ভিতরে প্রবেশ করানোর জন্য ব়্যাট-হোল-মাইনিং কৌশল ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা। এর জন্য মধ্য প্রদেশ থেকে ছয় ব়্যাট-হোল-মাইনিং বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠানো হয়। তাদের কৌশলেই শেষ পর্যন্ত শ্রমিকরা সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছেন।