Uttarkashi Rescue Work: ইঁদুরের গর্ত খননের পরও কেন চটজলদি পাঠানো হয়নি NDRF-কে, কারণ জানলে অবাক হবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 29, 2023 | 7:02 AM

Rescue Operation: প্রায় ৬০ মিটার চওড়া পাথর খনন করতে গিয়েই বিকল হয়ে গিয়েছিল আমেরিকান অগার মেশিন। ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হলেও, পাথর ধসে শ্রমিকদের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই অত্যন্ত সতর্কভাবে উদ্ধারকাজ এগোনো হচ্ছিল। মঙ্গলবার র‌্যাট হোল মাইনিং শুরু হয়। খনন করে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তাদের বের করে আনা হয়নি।

Uttarkashi Rescue Work: ইঁদুরের গর্ত খননের পরও কেন চটজলদি পাঠানো হয়নি NDRF-কে, কারণ জানলে অবাক হবেন
উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর এনডিআরএফ কর্মীরা।
Image Credit source: PTI

Follow Us

উত্তরকাশী: উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) অকাল দীপাবলি। আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করে বের করে আনতেই আনন্দে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (pushkar Singh Dhami) থেকে শুরু করে উদ্ধারকারী দলের সকলে। দিপাবলীর দিন, ১২ নভেম্বরই উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস (Silkiyara Tunnel Collapse) নামায় আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। টানা ১৭ দিন ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পর, ২৮ নভেম্বরের রাতে অবশেষে সাফল্য মেলে। সমস্ত যন্ত্র যেখানে হার মেনে গিয়েছিল, সেখানে মানব ক্ষমতায় র‌্যাট হোল মাইনিং (Rat Hole Mining) পদ্ধতিতেই বের করে আনা হল শ্রমিকদের। কীভাবে সুড়ঙ্গের ভিতরে ধাপে ধাপে এগোল সেই পদ্ধতি? বাইরেই বা আনা হল কীভাবে শ্রমিকদের?

প্রায় ৬০ মিটার চওড়া পাথর খনন করতে গিয়েই বিকল হয়ে গিয়েছিল আমেরিকান অগার মেশিন। ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হলেও, পাথর ধসে শ্রমিকদের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণেই অত্যন্ত সতর্কভাবে উদ্ধারকাজ এগোনো হচ্ছিল। মঙ্গলবার র‌্যাট হোল মাইনিং শুরু হয়। খনন করে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তাদের বের করে আনা হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ সময় দেওয়া হয়েছিল বাইরের ১৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার সঙ্গে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য।

কীভাবে বের করা হল শ্রমিকদের?

  • সুড়ঙ্গের ভিতরে র‌্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতিতে মাটি খনন করা হয়। তার মধ্যে প্রবেশ করানো হয় ২ মিটার চওড়া পাইপ। সেই পাইপের ভিতরেই প্রবেশ করানো হয় স্পেশাল মডিফায়েড স্ট্রেচার। এই স্ট্রেচারে করেই একে একে বের করে আনা হয় শ্রমিকদের।
  • র‌্যাট হোল খননের পর প্রথমে ওই পাইপ দিয়ে সুড়ঙ্গের বদ্ধ জায়গায় পৌঁছন এনডিআরএফের কর্মীরা। তাঁরা আটকে থাকা শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন এবং কীভাবে সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে বেরতে হবে, তার প্রোটোকল বোঝান। একে একে শ্রমিকদের ওই স্ট্রেচারে শোয়ানো হয়। স্ট্রাপ দিয়ে আটকানো হয় তাদের, যাতে বেঁকে গিয়ে পাইপের মাঝে কোথাও আটকে না যান। এরপর ওপ্রান্ত থেকে স্ট্রেচারে বাধা দড়ি টেনে বের করে আনা হয় শ্রমিকদের।
  • সুড়ঙ্গের ভিতরেই অপেক্ষা করছিল অ্যাম্বুল্যান্স। মোট ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ৪১ শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে চিন্যালিয়াসোরে তৈরি অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়।
Next Article