উত্তরকাশী: সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গের (Silkyara tunnel) অন্ধকার কূপের মধ্যে দেখা দিচ্ছে আশার আলো। টানা খননকাজের ফলে অগার মেশিন ভেঙে পড়েছে। ম্যানুয়ালি (Manually) খনন কাজ শুরু হয়েছে। ব়্যাট-হোল প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুভূমিক খননকাজ চালানো হচ্ছে। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এখন সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের থেকে আর মাত্র ৫ মিটার দূরে রয়েছে উদ্ধারকারী দল। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকারী দলের তরফে এমনটাই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, অন্ধকার-কূপে আটকে থাকা শ্রমিকদের মানসিকভাবে স্থিতিশীল রাখতে ওয়াকি-টকির মাধ্যমেই কাউন্সিলিং করছেন মনোবিদরা।
রাতভোর খননকাজের পর এদিন সকালে মাইক্রো টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কপার বলেন, “গত রাতে আমরা অনেকটাই ভিতরে পৌঁছতে পেরেছি। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে আমরা ৫০ মিটার পার করে গিয়েছি। আর মাত্র ৫-৬ মিটার যেতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “গত রাতে আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। এটা ইতিবাচক দিক।”
#WATCH | Uttarkashi (Uttarakhand) tunnel rescue | Micro tunnelling expert Chris Cooper says, “…It went very well last night. We have crossed 50 metres. It’s now about 5-6 metres to go…We didn’t have any obstacles last night. It is looking very positive…” pic.twitter.com/HQssam4YUs
— ANI (@ANI) November 28, 2023
অন্যদিকে, টানা ১৭ দিন ধরে অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে থেকে শ্রমিকদের মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। তাই তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কম তেল-মশলাযুক্ত পুষ্টিকর খাবার, নুন, জলের পাউচ, এনার্জি ড্রিঙ্কস পাঠানোর পাশাপাশি এবার কাউন্সিলিংও শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের তরফেই ওয়াকি-টকির মাধ্যমে মনোবিদ দিয়ে শ্রমিকদের কাউন্সিলিং করানো হচ্ছে। এছাড়া তাঁদের স্বাস্থ্যেরও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, দু-দফায় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। সেই চিকিৎসক দলে জেনারেল ফিজিশিয়ান থেকে মনোবিদও রয়েছেন।
সোমবার মনোবিদের কাউন্সিলিং করার কথা ভাইকে ফোনে জানিয়েছেন সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সাবা আহমেদ। তাঁদের মানসিকভাবে দুর্বল না হওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এই বন্দিদশার মধ্যেও কীভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকা যায়, সে বিষয়ে মনোবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন বলে সাবা তাঁর ভাইকে জানিয়েছেন। শ্রমিকেরা যাতে ভিডিয়োগেম খেলে বা সিনেমা দেখে মন ভাল রাখতে পারেন তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে, এমনকি টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, তোয়ালে, জামা-কাপড়ও সুড়ঙ্গে পাঠানো হয়েছে বলে উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। আবার শ্রমিকেরা যাতে নিরাপদে সুড়ঙ্গ থেকে বের হতে পারেন, তার জন্য দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।