নয়া দিল্লি: গত কয়েকমাস ধরে বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। কৃষি থেকে মূল্যবৃদ্ধি, একাধিক ইস্যুতে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। আর এবার ব্যাঙ্ক ও রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর দাবি, কেন্দ্র যে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে চাকরি হারাতে পারেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ বেকারত্বের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বেসরকারিকরণের ফলে অবসর নিতে বাধ্য হতে পারেন অন্তত ৫ লক্ষ কর্মী। টুইটে তিনি লিখেছেন, প্রত্যেকটা চাকরি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে এক একটি পরিবারের আশা। সরকার আর্থিক সমতা বজায় রাখতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে গত মাসে নিজের কেন্দ্র পিলভিটে গিয়ে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারিকরণের নামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের ভোটের মাঝে এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। একদিকে যখন বিরোধীরা বেসরকারিকরণের ইস্যুতে বারবার মোদী সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে, তখন উত্তরপ্রদেশের চতুর্থ দফার ভোটের আগে খোদ দলের সাংসদের এমন বক্তব্য ঘিরে বাড়ল অস্বস্তি।
केवल बैंक और रेलवे का निजीकरण ही 5 लाख कर्मचारियों को ‘जबरन सेवानिवृत्त’ यानि बेरोजगार कर देगा।
समाप्त होती हर नौकरी के साथ ही समाप्त हो जाती है लाखों परिवारों की उम्मीदें।
सामाजिक स्तर पर आर्थिक असमानता पैदा कर एक ‘लोक कल्याणकारी सरकार’ पूंजीवाद को बढ़ावा कभी नहीं दे सकती।
— Varun Gandhi (@varungandhi80) February 22, 2022
গত কয়েক দিন আগেই একই ভাবে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। ঋণ নিয়ে যে ভাবে সমস্ত শিল্পপতিরা দেশছাড়া হচ্ছেন, সে বিষয়েও সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বরুণ গান্ধী। তিনি লিখেছেন, বিজয় মালিয়া ৯ হাজার কোটি, নীরব মোদী ১৪ হাজার কোটি, ঋষি আগরওয়াল ২৩ হাজার কোটি নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। এই তথ্য তুলে ধরে সাংসদের দাবি, ঋণের বোঝা বাড়ছে। প্রত্যেকদিন প্রায় ১৪ জন করে আত্মহত্যা করছে, আর তখন এই সমস্ত ধনকুবেররা বিলাসিতার চরম পর্যায়ে রয়েছে। তাঁর দাবি, এরকম সময়ে একটা মজবুত সরকারের উচিৎ এই বিষয়ে মজবুত ব্যবস্থা নেওয়া। এ ভাবেই একের পর এক সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। তাঁর মা মেনকা গান্ধীও উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। গত কয়েকমাস ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মনোভাব দেখা যাচ্ছে বরুণ গান্ধীর। ক্রমশ দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।