থানে: ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। জল জমে কাদা কাদা হয়ে আছে পুরো প্রাঙ্গন। তার মধ্যেই পুশ-আপ দেওয়ার পজিশনে উপুর হয়ে রয়েছে আট যুবক। তবে, পুশ-আপ করার সময়ে যেই রকম হাতে ভর দিয়ে শরীরকে তুলতে দেখা যায়, সেভাবে নয়। এই ক্ষেত্রে হাতের বদলে, তাদের ভর দিতে হয়েছে মাথায়। তাদের পিছনে রয়েছে আরও এক যুবক, যার হাতে রয়েছে একটি মোটা লাঠি। এক এক করে উপুর হয়ে থাকা আট যুবকের নিতম্বে সেই লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে চলেছে সে। এমনই এক শিউরে ওঠার মতো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, প্রহারকারী এবং ওই আট যুবকের প্রত্যেকেই মুম্বই সংলগ্ন থানের বান্দোদকর কলেজের। তারা ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস বা এনসিসি-র প্রশিক্ষণ নেন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই, ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে চারদিকে। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, এনসিসি-র প্রশিক্ষণে কি এই ধরনের ব্যবহার করা যায়?
ভিডিয়োতে লাঠি হাতে যে ব্যক্তিকে ওই যুবকদের বেদম প্রহার করতে দেখা যাচ্ছে, সে এনসিসি-র একজন সিনিয়র ক্যাডেট বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সে বাকি ক্যআডেটদের একটি কঠিন শারীরিক অনুশীলন করতে দিয়েছিলেন। তারা সেটি করতে না পারাতেই, ওই এনসিসি ক্যাডেটদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করে সে। মারধরের জেরে কয়েকজন ক্যাডেটকে কান্নাকাটি করতে দেখা গিয়েছে। মারের চোটে এক ক্যাডেট পুশআপের পজিশন ধরে রাখতে পারেনি। তার জেরে তাঁকে আরও বার সহ্য করতে হয়। একটি জানালার আড়াল থেকে এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছেন ওই কলেজেরই এক ছাত্র। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ চত্বরে কীকরে কোন ছাত্র, এনসিসি প্রশিক্ষণের নামে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে এই রকম বর্বরোচিত আচরণ করতে পারল, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
Horrific Thane Video!!
A video of NCC students being beaten up at Thane’s Joshi Bedekar College has gone viral…#Inhumanpunishment #NCCtraining pic.twitter.com/vZj9C01xR9— Puja Bhardwaj (@Pbndtv) August 3, 2023
এই অবস্থায় কলেজের অধ্যক্ষা সুচিত্রা নায়েক জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা এই ধরনের আচরণ সহ্য করব না। ওই সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে একজন এনসিসি ক্যাডেট। তবে, একইসঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে, এনসিসি আমাদের কলেজে অনেক ভাল কাজও করেছে।” তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের কলেজে এনসিসি ট্রেনিং দেওয়া হয়। মারধরের ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন সেখানে কোনও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। ওই ছাত্রের আচরণ, কোনও ‘মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির’ মতো বলেছেন অধ্যক্ষা।