লখনউ: আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের (Rajya Sabha MP SAnjay Singh) টুইট করা ভিডিও ঘিরে উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়ী খুনের ঘটনা নতুন মাত্রা পেল। প্রকাশিত ভিডিয়ো উত্তর প্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। রাজ্যসভা সাংসদের টুইট করা ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) ভাইরাল (Viral) হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য পুলিশের এই সিনিয়র অফিসার, মৃত ব্য়বসায়ী মণীশ গুপ্তর পরিবারকে কোনও অভিযোগ দায়ের না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীর এই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় চাপের মুখে অভিযুক্ত ৬ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে গোরক্ষপুরের জেলা শাসককে মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছে আদালতে মামলা করলে সেই মামলা বছরের পর বছর ধরে চলে। জেলা শাসক বিজয় করণ আনন্দ মণীশের স্ত্রীয়ের উদ্দেশে বলেন আপনি মামলা করবেন না। আমি আপনার বড় দাদা হিসেবে অনুরোধ করছি। বিশ্বাস করুন কোর্টে মামলা করলে বছরের বছর সময় লেগে যাবে।
ये आदित्यनाथ सरकार के अधिकारी हैं।
कह रहे हैं “FIR न लिखवाओ वरना सालों साल केस चलेगा”
SP महोदय खुद मान रहे हैं “पुलिसवालों का पहले से कोई झगड़ा तो था नही” मतलब साफ़ है की एक निर्दोष व्यक्ति की बिना किसी जुर्म के हत्या कर दी गई। तो FIR क्यों नही? न्याय कैसे मिलेगा? pic.twitter.com/JvD2Fqnyrh— Sanjay Singh AAP (@SanjayAzadSln) September 29, 2021
ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে পুলিশ আধিকারিক বিপিন টাডাকে বলতে শোনা গিয়েছে “আপনার স্বামীর সঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের কোনও পূর্ব শত্রুতা ছিল না। তাঁরা সেখানে পুলিশের উর্দি পড়েই গিয়েছিলেন বলেই আমি সকাল থেকে আপনার কথা শুনছি। আপনি অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার আবেদন করেছিলেন, আমি সেটাই করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত না হচ্ছেন ততক্ষণ তাদের পুনর্বহাল করা হবে না।”
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) খাস তালুক হিসেবে পরিচিত গোরক্ষপুরে (Gorakhpur)একটি হোটেলে, সোমবার মাঝরাতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। তল্লাশি চালাবার সময়ই কানপুরের (Kanpur) বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ ছিল পুলিশের মারধরের পরেই মারা যান ওই ব্যবসায়ী। মৃত মণীশ কুমার গুপ্তার স্ত্রী পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে হত্যা করার মারাত্মক অভিযোগ তুলেছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেছিলেন আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হোটেলে যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরের সর্বত্র রক্ত ছিল। আমার স্বামীর বন্ধুদের কাছ থেকে আমি সেটা জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু পরে সেখানে আর কোনও রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। হোটেলের সাফাই কর্মীদের দিয়ে সব পরিষ্কার করানো হয়েছে।
বলা বাহুল্য আগামী বছরেই উত্তর প্রদেশের হাই প্রোফাইল বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election)। ২০২৪ লোকসভা ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন বিজেপির (BJP) কাছে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। তার আগে যোগী সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা এই মারত্মক অভিযোগে যে অক্সিজেন পাবে বিরোধী শিবির, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এখন এই ঘটনাক জল কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Bangladesh: রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে খুন, বাংলাদেশের উদ্বাস্তু ক্যাম্পে চাঞ্চল্য