মুম্বই: লোকাল ট্রেনের মধ্যে পাঁচতারা রেস্তোরাঁ! শুনে অবিশ্বাস হতেই পারে। কিন্তু, সম্প্রতি এই অবিশ্বাস্য কাণ্ডই করে দেখিয়েছেন সার্থক সচদেভ এবং আর্য কাটারিয়া নামে মুম্বইয়ের দুই ভ্লগার। মুম্বইয়ের লাইফ লাইন বলা হয় শহরের লোকাল ট্রেন পরিষেবাকে। সেখানকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ লোকাল ট্রেন। সম্প্রতি, মুম্বইয়ের এক লোকাল ট্রেনের একটি কোচকেই অস্থায়ী রেস্তোরাঁয় রূপান্তরিত করলেন এই দুই ভ্লগার। ট্রেনযাত্রীদের, রীতিমতো টেবিল পেতে অদ্ভুত অদ্ভুত খাদ্য পরিবেশন করলেন তাঁরা। তাদের সেই কাণ্ডের একটি ভিডিয়ো তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেটি এখন ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের কাছ থেকে এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো কনটেন্ট বানানো, বর্তমানে অনেকের কাছেই নেশা থেকে পেশায় পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেটের দর্শকদের বিমোহিত করতে লোকাল ট্রেনে নাচ বা বিভিন্ন স্টান্ট দেখানোর ভিডিয়ো এর আগে অনেকেই বানিয়েছেন। কিন্তু, লোকাল ট্রেনে রেস্তোরাঁর স্থাপনের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অভিনব। সার্থক এবং আর্য তাঁদের পোস্ট করা ভিডিয়োতে জানিয়েছেন, এই রোস্তোরাঁ চালুর আগে তাঁরা আমন্ত্রণপত্রও ছাপিয়েছিলেন। ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে সেই আমন্ত্রণপত্রগুলি বিতরণও করেছিলেন। তাঁদের এই অভিনব রেস্তোরাঁর নাম ‘টেস্টি টিকিট’। কবে এর ‘গ্র্যান্ড ওপেনিং’, তার তারিখ, সময়, স্থান এবং যোগাযোগ নম্বরের মতো বিশদ দেওয়া ছিল ওই আমন্ত্রণপত্রে। আরও জানানো হয়েছিল, এই রেস্তোরাঁয় খাবার দেওয়া হবে বিনামূল্যে।
রেস্তোরাঁর উদ্বোধনের দিন, দুই ভ্লগারকে দেখা যায় একেবারে পাঁচতারা রেস্তোরাঁর খাবার পরিবেশনকারীদের পোশাকে। এরপর, এক লোকাল ট্রেনের বগির ভিতর, দুই যাত্রীর সামনে তাঁরা একটি ছোট ভাঁজ করা টেবিল সাজিয়ে, সেটিকে একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। রেস্তোরাঁর পদগুলি খুবই অভিনব। যেমন, অরিগানো দিয়ে জিলিপি। টম্যাটো কেচআপ দিয়ে জমে যাওয়া ঠান্ডা ম্যাগি। সেই খাবারই তাঁরা চামচ-সহ প্লেটে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। যে দুই যাত্রী তাঁদের খাবার খেয়েছেন, তাঁরা কিন্তু জানিয়েছেন, ভ্লগারদের ‘ভালবেসে তৈরি খাবার’ তাঁদের খুব ভাল লেগেছে। শেষ পাতে মিষ্টিও ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো সাড়া ফেলে দিয়েছে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, এরপর আবার কোন স্টেশন থেকে তাঁরা ট্রেনে উঠবেন তাঁদের ভ্রাম্যমান রেস্তোরাঁ নিয়ে। কেউ কেউ আবার আগে থেকে টেবিল বুক পর্যন্ত করতে চেয়েছেন। আবার অনেকে অফিসটাইমের ট্রেনে এই রেস্তোরাঁ টালানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন ভ্লগারদের। আবার কেউ কেউ সতর্ক করে বলেছেন, এই রেস্তোরাঁ চালাতে গেলে কোনও এক দিন আরপিএফ বা টিকিটচেকার তাদের পাকড়াও করতে পারে।