Maharashtra: ১৮ না হলে হাতে মোবাইল নয়, কড়া নিয়ম এই গ্রামে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 17, 2022 | 6:48 PM

mobile phones ban in Maharashtra Village: ১৮ বছর বয়সের নীচে যাদের বয়স, তারা কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্রের যবাতমাল জেলার এক গ্রাম।

Maharashtra: ১৮ না হলে হাতে মোবাইল নয়, কড়া নিয়ম এই গ্রামে
মোবাইলে হয় গেম খেলছে শিশুরা, নাহলে প্রাপ্ত বয়স্ক ওয়েবসাইট দেখছে

Follow Us

মুম্বই: ১৮ বছর বয়সের নীচে যাদের বয়স, তারা কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্রের যবাতমাল জেলার এক গ্রাম। পুসড় মহকুমার বনসি গ্রাম সভায় সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, গ্রামের শিশুরা ক্রমে মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ছে। মোবাইলে গেম খেলছে, প্রাপ্ত বয়স্ক ওয়েবসাইট দেখছে। এর থেকে শিশুদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই গ্রামসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বনসি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গজানন তালে জানিয়েছেন, এই নিয়ম যাতে গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলে, সেই দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে অভিভাবক-অভিভাবিকাদের। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ১১ নভেম্বর এই বিষয়ে গ্রামসভা বসেছিল। সেখানে, ১৮ বছরের নীচের ছেলেমেয়েদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এই সিদ্ধান্ত সকলেই মেনে নিয়েছে। কেউ এর বিরোধিতা করেনি। এমনকি, যাদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা, সেই অল্পবয়সীরাও এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে বলে জানিয়েছেন গজানন তালে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের এক ছাত্র বলেছে, “ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভাল অভ্যাস তৈরি করার জন্য এটা একটা দারুণ পদক্ষেপ।” অভিভাবক-অভিভাবিকারাও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে বলে জানা গিয়েছে। গজানন তালে জানিয়েছেন, “আমরা জানি, এই সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করা কঠিন হবে। তবে, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝাবো। তাতে যদি কাজ না হয়, তাহলে আমরা তাদের উপর জরিমানা আরোপ করব।” সূত্রের খবর এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করলে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হতে পারে।

এর আগে মহারাষ্ট্রেরই সাঙ্গলি জেলার এক গ্রামে প্রতিদিন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুটা সময় গ্রামবাসীরা ডিজিটাল প্রযুক্তির থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শিশুদের পড়াশোনা করা এবং বড়দের পারস্পরিক মেলামেশা বাড়ানো বা বই পড়ায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মোহিত্যাঞ্চে ভাড়গাঁও নামে ওই গ্রামে সাইরেন বেজে ওঠে। পরবর্তী দেড় ঘণ্টা গ্রামবাসীরা সমস্ত ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির থেকে দূরে থাকেন। শুরুটা পরীক্ষামূলকভাবে হলেও, আশা কর্মী, সমাজকর্মী এবং অন্যান্যদের সমর্থনে ক্রমশই এই অনুশীলনের পরিধি বাড়ছে।

Next Article