Vinai Kumar Saxena: দিল্লির নয়া লেফট্যানেন্ট গভর্নর হলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 23, 2022 | 9:14 PM

Delhi new Lt Governor: অনিল বৈজলের পদত্যাগের পর বিনয় কুমার সাক্সেনাকে দিল্লির নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসবে নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

Vinai Kumar Saxena: দিল্লির নয়া লেফট্যানেন্ট গভর্নর হলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা
দিল্লির নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা

Follow Us

নয়া দিল্লি: সোমবার (২৩ মে), দিল্লির নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসবে নিযুক্ত হলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা। ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অনিল বৈজলের পদত্যাগের পাঁচ দিন পর বিনয় কুমার সাক্সেনাকে এই পদে নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এতদিন বিনয় কুমার সাক্সেনা, কেন্দ্রীয় মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রকের অধীনস্ত খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে এই পদে ছিলেন তিনি। এদিন, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অনিল বৈজলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। বিনয় কুমার সাক্সেনা তাঁর অফিসের দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হবেন’। দিল্লির ২২তম লেফট্যানেন্ট গভর্নর হতে চলেছেন তিনি।

গত বুধবার (১৮ মে), দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অনিল বৈজল। এই পদ থেকে নাজিব জং আচমকা ইস্তফা দেওয়ার পর, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন অনিল। দীর্ঘ ৫ বছর ৪ মাস ধরে এই পদে থাকাকালীন, বিভিন্ন বিষয়ে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন অনিল বৈজল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে নানা বিষয়ে তাঁর বিরোধ ছিল। এমনকি, গভর্নরের নিযুক্ত আইএএস অফিসাররা দিল্লির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না অভিযোগ করে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা লেফট্যানেন্ট গভর্নরের অফিসের সামনে ধর্নাতেও বসেছিলেন।

বস্তুত, দিল্লির আপ সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সংঘাতের প্রেক্ষিতে, গত কয়েক বছরে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নরের ভূমিকা। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বারংবার অভিযোগ করেছেন, লেফট্যানেন্ট গভর্নরকে দিয়েই দিল্লির সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। একমাত্র জমি, পুলিশ এবং জনশৃঙ্খলার বিষয় ছাড়া আর কোনও বিষয়ে তিনি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। রাজ্য শাসনের প্রকৃত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছেই রয়েছে। তবে, তারপরও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে গিয়েছেন অনিল বৈজল। অন্যদিকে, আপ নেতারাও সমানে আক্রমণ করে গিয়েছেন তাঁকে। সেই বিরোধিতার পরিবেশ নব নিযুক্ত লেফট্যানেন্ট গভর্নরের সময়ও বজায় থাকে কি না, এখন সেটাই দেখার।

 

Next Article