MP Viral Video: মৃত মেয়েকে কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বাবা! তাঁর ফেলে আসা পথের কাহিনি শুনলে মাথা হেঁট হয়ে যাবে

MP Viral Video: বক্সওয়াহায় পৌঁছেও শিশুটির বাবা লক্ষ্ণণ আহিরওয়ার নগর পঞ্চায়েতের কাছে যান পৌডি গ্রাম অবধি একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারাও অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়েই শিশুকে কোলে নিয়েই তাঁর বাবা হাঁটতে হাঁটতে গ্রামে ফেরেন।

MP Viral Video: মৃত মেয়েকে কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বাবা! তাঁর ফেলে আসা পথের কাহিনি শুনলে মাথা হেঁট হয়ে যাবে
মেয়েকে কোলে নিয়ে গ্রামের পথে বাবা। ছবি টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 9:52 AM

ভোপাল: হয়ত ভেবেছিলেন, মেয়েকে সুস্থ করে কোলে করেই গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। হোক্ না ওতটা পথ! না পাক অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা গাড়ি। এত বড় বাবার কাঁধ রয়েছে কী করতে! এ সব ভাবনা ভাবনাই রয়ে গেল মধ্য প্রদেশের ছত্তরপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ আহিরওয়ার। তাঁর ৪ বছরের মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছত্তরপুরের বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন লক্ষ্মণ। সেখান থেকে সদর হাসপাতাল। কিন্তু দিন না ফুরোতেই ফুরিয়ে যায় এক রত্তির জীবন। তারপরের দৃশ্য আরও করুণ। হাজার মিনুতি করেও হাসপাতাল থেকে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী যান পাননি লক্ষ্মণ। অগত্যা তাঁর সেই ভাবনাই তাঁকে পথ দেখালো। মেয়েকে সুস্থ করে ফিরিয়ে আনতে পারেননি বটে কিন্তু নিজের কাঁধে চাপিয়ে খাঁ খাঁ রোদে মরা মেয়েকে নিয়ে হাঁটা লাগিয়েছিলেন লক্ষ্মণ। সে দিন সেই পথ যে কতটা দীর্ঘ ছিল তা লক্ষ্মণই জানেন।

গত সোমবার ৪ বছরের ওই শিশুকন্যা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছত্তরপুরের বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্মণ আহিরওয়ার। সেখানে মেয়ের অবস্থার আরও অবনতি হয়। তারপর পার্শ্ববর্তী দামোহ জেলার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার শিশুটির মৃত্যু হয়। মৃত মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা শববাহী যানের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন লক্ষ্মণ। কিন্তু লক্ষ্মণের অনুরোধে কেউ কর্ণপাত করেননি। শিশুটির দাদু মনসুখ আহিরওয়ার বলেন, “হাসপাতালের কর্মীদের থেকে অ্যাম্বুল্যান্স চাওয়া হয়। কেউ ব্যবস্থা করেনি। বাধ্য হয়ে, শিশুটির দেহ কম্বলে জড়িয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই। বাসে করে দেহকে বক্সওয়াহায় নিয়ে আসা হয়।”

এরপর বক্সওয়াহায় পৌঁছে পৌডি গ্রাম অবধি একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য নগর পঞ্চায়েতের কাছে যান লক্ষ্ণণ আহিরওয়ার। কিন্তু তাঁরাও অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়েই শিশুকে কোলে নিয়েই তাঁর বাবা হাঁটতে হাঁটতে গ্রামে ফেরেন।

যদিও দামোহ হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডঃ মমতা তিমোরি জানান যে, শিশুটির পরিবারের কেউই শববাহী গাড়ির জন্য কথা বলেননি। হাসপাতালেরই নিজস্ব শববাহী গাড়ি রয়েছে। এছাড়া রেড ক্রস বা অন্য কোনও এনজিও সংস্থা থেকেও গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত বলে জানান তিনি।

এর আগে গত সপ্তাহে মধ্য প্রদেশের সাগর জেলায় এক ব্যক্তিও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। হাসপাতালের তরফে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা না করায়, বাধ্য হয়ে ঠেলাগাড়িতে করেই তাঁর ভাইয়ের দেহ গ্রামে নিয়ে আসতে হয়।