নয়া দিল্লি : যে কোনও মুহূর্তে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third wave of COVID 19) আছড়ে পড়তে পারে দেশে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতির উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরগুলি। তবে ওমিক্রনই (Omicron Variant) শেষ নয়। করোনা অতিমারির আরও অনেক ঢেউ আসবে আগামীদিনে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক গগনদীপ কাং। তাঁর মতে, যেহেতু করোনাটি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস তাই এই ধরনের ভাইরাসগুলি বার বার একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে আসার প্রবণতা রয়েছে।
গগনদীপ কাংয়ের মতে, “এটি খুবই স্পষ্ট যে আমাদের করোনা ভাইরাসের সঙ্গেই বাঁচতে শিখতে হবে। করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টগুলির সঙ্গে আগামী দিনে টিকে থাকতে শিখতে হবে।” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি এটাই বলেন যে ভারত বর্তমানে অনেকটা ভাল জায়গায় দাঁড়িয়ে। তিনি বলেন, “দেশ দুই বছর আগের তুলনায় ভালভাবে প্রস্তুত রয়েছে করোনা মোকাবিলায়। মানুষের এখন কোভিড-১৯-এর সঙ্গে বাঁচতে শেখা উচিত।”
ভারত এখন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের একেবারে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে কোনও সময়ে ওমিক্রনের ধাক্কায় তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দেশে। । গত কয়েক দিনে, কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরদার করতে ৩ জানুয়ারি থেকে, দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি কিশোর কিশোরীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১০ জানুয়ারী থেকে তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হবে ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং কমর্বিডিটি সহ প্রবীণ নাগরিকদের ।
ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক গগনদীপ কাং বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আমাদের ঘরের ছোটদের স্কুলে পাঠানো উচিত। কারণ সাধারণত ছোটদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ খুব বেশি গুরুতর নয়। ভারতে বুস্টার ডোজ হিসাবে কোন ভ্যাকসিন ব্যবহার করা উচিত তা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য উপলব্ধ ডেটা খুবই কম।”
তিনি আরও বলেছেন, ওমিক্রনের প্রভাব অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় কিছুটা কম গুরুতর বলে মনে হচ্ছে। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি তৃতীয় এবং অন্যান্য ঢেউ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল – তৃতীয় বা চতুর্থ বা পঞ্চম ঢেউ আসতেই থাকবে। যেহেতু করোনা এক ধরনের শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, তাই এই ভাইরাসগুলিক ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার ফিরে আসার একটি প্রবণতা থাকে।”