শান্তিনিকেতন : রামগড়ে পাহাড়ের বুকে বাংলোয় বেশ কিছুদিন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেখানে বসেই লিখেছিলেন গীতাঞ্জলির একগুচ্ছ গান। নৈনিতালের রামগড় পাহাড়ে রবীন্দ্রনাথের সেই বাংলো কালের নিয়মেই মলিন হয়েছে। সেই বাসভবনেই বিশ্বভারতীর নতুন ক্যাম্পাস তৈরির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। আর এবার সেই ক্যাম্পাস তৈরির জন্য বিনা শুল্কেই জমি দিল উত্তরাখণ্ড সরকার।
উত্তরাখণ্ড সরকার বিনা শুল্কে ৪৫ একর জমি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। শুক্রবার উত্তরাখণ্ড সরকার চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে বিশ্বভারতীকে। কবিগুরুর বিশ্বভারতীর আরেকটি ক্যাম্পাস তৈরি করার পরিকল্পনা আগেই নেওয়া হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের রামগড় এলাকায় তৈরি হবে সেই ভবন। সেই কারণে, উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে জমির জন্য আবেদন করা হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। শুক্রবারই এল সেই সংক্রান্ত চিঠি। রামগড় এলাকায় ৪৫ একর জমি বিশ্বভারতীকে দান করা হল উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ১৫০ কোটি টাকার আবেদন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১২৫ কোটি টাকা খরচ হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য। এবার জমি পাওয়ার পর, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করতে চাইছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরেই পঠন পাঠন শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্যায়ে পাঁচটি স্কুল করে এই পঠন-পাঠন শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই রামগড়ের সঙ্গে। তাই এই প্রথমবার রাজ্যের বাইরে বিশ্বভারতীর আর্থিক ক্যাম্পাস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নৈনিতালে রামগড়ের সেই জায়গাকে অনেকেই টেগোর টপ বলে চেনেন। ১৯০৩ সালে কবিগুরু সেখানে থাকতেন বলে জানা যায়। সমতল থেকে ৪-৫ কিলোমিটার ট্রেক করে উঠতে হয় এই অংশে। দিনে দিনে অযত্নের দাগ লেগেছে সেই বাংলোর গায়ে। এখন শুধুই স্মৃতিটুকু নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে কাজ এগোলে শীঘ্রই নতুন চেহারা পাবে সেই বাংলো। জানা যায়, মেয়ে রেনুকা দেবী যখন অসুস্থ, তখন তাঁকে নিয়ে গিয়ে ওই বাংলোয় থাকতেন রবি ঠাকুর।
আরও পড়ুন: Mukul Roy: দল পরিবর্তনই করেননি বিধায়ক, বোঝালেন মুকুলের আইনজীবী, ১ ঘণ্টা ধরে চলল দলত্যাগ শুনানি