নয়া দিল্লি: বুধবারই ইউরোপের ৩ টি দেশের সফর সমাপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। জার্মানি থেকে সফর শুরু করে নেদারল্যান্ড (Netherlands) হয়ে ফ্রান্সে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউরোপের দুই প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের দূতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি নেদারল্যান্ডের দূতকে কড়া বার্তা দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেদারল্যান্ড সফরের পর ভারতের এই অবস্থান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তিরুমূর্তি বলেন “এক তরফাভাবে আমাদের নিয়ে কিছু বলবেন না। কী করণীয়, সেই সম্পর্কে নয়া দিল্লি ওয়াকিবহাল।” ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করেছিল রাশিয়া, সেই সময়ই দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক প্রদেশ দুটিকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল রাশিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা একাধিক প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। পশ্চিমী বিশ্বের অনেকই দেশই ভারতের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়েছিল।
টুইটে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কারেল ভ্যান ওস্টেরমকে নিশানা করে টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “এক তরফাভাবে আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেবেন না। আমরা জানি কী করা উচিৎ।” টুইটে ওস্টেরম বলেছিলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ থেকে বিরত থাকা উচিৎ হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়মগুলিকে সম্মান করা উচিৎ।” বুধবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিবৃতি দিয়েছিলেন তিরুমূর্তি। টুইটারে লিখিত বিবৃতিও প্রকাশ করেন তিরুমূর্তি। এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছিল আমেরিকা। ভারত, চিনের মতো বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত ছিল। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেও একাধিকবার জানিয়েছিলেন যে ‘ভারত শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ দেখবে। আন্তর্জাতিক মহলকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোনও কাজ করবে না।’ সেই কারণে আমেরিকার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত অটল ছিল ভারত। মোদীর সফরেরর ঠিক পরই আরও একবার নেদারল্যান্ডের উদ্দেশে সেই বার্তা ভারতের অবস্থানকেই স্পষ্ট করল, এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।