AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা যুদ্ধে এবার ভারতের হাতে আসছে ফাইজ়ারের টিকা, জেনে নিন কবে মিলবে ভারতে

ফাইজ়ারের (Pfizer Covid vaccine) দাবি, তাদের টিকা ১২ বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী সকলেই নিতে পারবেন।

করোনা যুদ্ধে এবার ভারতের হাতে আসছে ফাইজ়ারের টিকা, জেনে নিন কবে মিলবে ভারতে
প্রতীকী চিত্র
| Updated on: May 27, 2021 | 5:47 PM
Share

নয়া দিল্লি: করোনা (COVID-19) রুখতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার। ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনকে সঙ্গী করে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। এরই মধ্যে আশার ইঙ্গিত দিলেন নীতি আয়োগের সদস্য বিকে পাল। খুব শীঘ্রই ভারতে আসতে চলেছে মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজ়ারের ভ্যাকসিন। ফাইজ়ারের দাবি, তাদের টিকা ১২ বছর ও তার থেকে বেশি বয়সী সকলেই নিতে পারবেন। টিকা ২-৮ ডিগ্রিতে এক মাসের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা যাবে।

ভিকে পাল জানান, “আমরা ফাইজ়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের থেকে যা ইঙ্গিত পেয়েছি তাতে ভ্যাকসিনের কিছুটা ভলিউম আগামী মাসেই চলে আসতে পারে। জুলাইয়েও হতে পারে।” বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে, ঘরোয়া ভ্যাকসিন তৈরিতে কেন্দ্র সরকার বিশেষ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের এই সদস্য জানান, সরকার সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে যাতে বেশি সম্ভব টিকা দেশে তৈরি হয়। ভারত বায়োটেকের পাশাপাশি আরও তিনটি সংস্থা কোভ্যাকসিন তৈরি করবে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরিতেও গতি আনা হয়েছে। সংস্থার তরফে কোভিশিল্ডের উৎপাদন ৬.৫ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১১ কোটি ডোজ় করা হচ্ছে।

বিকে পাল জানান, যেই মুহূর্তে ফাইজ়ার উপলব্ধ হওয়ার সঙ্কেত এসেছে, কেন্দ্র মার্কিন এই সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। কেন্দ্রের উদ্যোগেই রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিকের পরীক্ষানিরীক্ষাতেও গতি এসেছে বলে জানান তিনি। এ দেশে স্পুটনিক ভি তৈরিও করা হবে।

আরও পড়ুন: ‘নয়া ভ্যারিয়েন্ট রুখতেও সফল’, ১২ উর্ধ্ব সকলের জন্য দ্রুত টিকা পাঠাতে আগ্রহী ফাইজ়ার

বিকে পালের কথায়, দেশে একদিনে ১ কোটি ডোজ় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা হয়ত সম্ভবও হবে। এখনও অবধি একদিনে ৪৩ লক্ষ ডোজ় দেওয়া সম্ভব হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে এগিয়েই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হবে।

বর্তমানে ভারতে মোট তিনটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে, এগুলির মধ্যে দুটি আবার ভারতেই তৈরি। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড ছাড়াও সম্প্রতি রাশিয়ার স্পুটনিক-ভিও ছাড়পত্র পেয়েছে। তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই কেন্দ্রের তরফে অন্যান্য ভ্যাকসিন আমদানির প্রচেষ্টাও করা হচ্ছে।