নয়া দিল্লি: একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল যে ইশতেহার প্রকাশ করে, সেখানে বলা হয়েছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের কথা। এ রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে শুরু হয় দুয়ারে রেশন। গত নভেম্বরে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী সকলের জন্য এই প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। কিন্তু প্রথম থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে বেঁকে বসেছিলেন রেশন ডিলারদের একটা অংশ। এ নিয়ে কোর্ট-কাছারিও হয়। রেশন ডিলারদের দাবি, এইভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া একেবারেই ভিত্তিহীন একটা সিদ্ধান্ত। শুক্রবার অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় দিল্লির বঙ্গ ভবনে। সেখানে জানানো হয়, কোনওভাবেই রেশন ডিলারদের পক্ষে এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের দাবি, দুয়ারে রেশনের প্রতিশ্রুতি আইনিসম্মতও নয়। ‘কেন্দ্রীয় আইনে দুয়ারে রেশন পৌঁছনো আইন বহির্ভূত’ বলেই দাহি করেছেন রেশন ডিলার সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, পশ্চিমবঙ্গে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করা সম্ভব নয়। এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তারা আর্জিও জানিয়েছেন।
সংগঠনের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু, কার্যকরী সভাপতি ওঙ্কারনাথ ঝাঁ এই বিষয়ে খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রকের সচিব সুধাংশু পাণ্ডের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সাত দফা দাবি কেন্দ্রের কাছে জানিয়েছেন তাঁরা। সেখানেই বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাবে ‘ডোর স্টেপ ডেলিভারি’ বা দুয়ারে রেশনের যে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তা বন্ধ হওয়া দরকার। পুরনো পদ্ধতিতেই ফেরা দরকার বলে দাবি তাঁদের।
গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসাবে রাজ্যজুড়ে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে খাদ্য দফতর। এরপরই রেশন ডিলাররা মামলা করেন আদালতে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার ফলে ডিলারদের উপর চাপ বাড়ছে। ডিলারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়ে আসতে হচ্ছে। সরকারি এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তাঁরা।