করোনা টিকায় জিএসটি মকুব আর পুরনো বকেয়া মেটানোর সওয়াল করতে পারেন অমিত মিত্র

জিএসটি কাউন্সিল(GST Council)-র বিগত দুটি বৈঠক না হওয়ায় চলতি মাসের ১২ তারিখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitharaman)-কে চিঠি লেখেন অমিত মিত্র (Amit Mitra)। দ্রুত বৈঠকের আয়োজন করার অনুরোধ জানান তিনি।

করোনা টিকায় জিএসটি মকুব আর পুরনো বকেয়া মেটানোর সওয়াল করতে পারেন অমিত মিত্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 12:19 PM

কলকাতা: কেন্দ্রের কাছে পাওনা রয়েছে ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। শুক্রবারের ৪৩ তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে (43rd GST Council Meeting) রাজ্যের তরফে প্রথমেই এই বকেয়া বরাদ্দ মেটানোর দাবি জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও করোনা টিকা ও করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রীর উপর থেকে জিএসটি মকুবেরও দাবি জানাবেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন(Nirmala Sitharaman)-র প্রতিনিধিত্বে এ দিন সকাল ১১টা থেকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হচ্ছে। বৈঠকে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রী ও অর্থসচিব ছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) ও কেন্দ্রীয় অর্থসচিব উপস্থিত উপস্থিত থাকবেন। রাজ্যের তরফে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চলতি অর্থবর্ষে ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই করোনাকালে যেখানে রাজ্য আর্থিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রের উচিত সর্বপ্রথমে রাজ্যগুলির বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া। এ দিনের বৈঠকে প্রথমেই এই বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গেই কথা হবে।  এছাড়াও, বৈঠকে একাধিক রাজ্যের তরফে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত নানাবিধ পণ্যের উপর জিএসটি মকুবের দাবিও জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, অর্থবর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বিগত দুটি ত্রৈমাসিকে কোনও বৈঠক হয়নি। এই বিষয়ে চলতি মাসের ১২ তারিখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লেখেন অমিত মিত্র এবং দ্রুত বৈঠকের আয়োজন করার অনুরোধ জানান।

জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার আগেই পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, কেরল, রাজস্থান সহ মোট আটটি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বৈঠক করেন এবং করোনা চিকিৎসায় অপরিহার্য চিকিৎসা সামগ্রীগুলির উপর থেকে জিএসটি মকুবের দাবিতে সহমত হন।

বর্তমানে স্যানিটাইজার, থার্মোমিটার, হাত ধোয়ার সাবান ইত্যাদি পণ্যে ১৮ শতাংশ জিএসটি, ভেন্টিলেটর, মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, রেমডেসিভির সহ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত একাধিক ওষুধ, পিপিই কিট, টেস্টিং কিটের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হয়। করোনা টিকা ও মাস্কের উপরও পাঁচ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে। করোনা টিকা ও জীবনদায়ী অক্সিজেনের উপর সম্পূর্ণ কর মকুব এবং বাকি ক্ষেত্রেও সম্ভব হলে সম্পূর্ণ জিএসটি মকুব কিংবা জিএসটিতে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করা হবে।

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা হবে না ভাষা! বাংলা সহ ৮টি আঞ্চলিক ভাষায় পড়ানো হবে ইঞ্জিনিয়ারিং