কলকাতা: রাজ্যে টিকাকরণ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ বিস্তর। কখনও টিকাকরণে বেনিয়ম, কখনও আবার বণ্টনে অনিময়ের অভিযোগ তোলে বিজেপি। নির্বাচনের পর থেকেই এই নিয়ে খোদ স্বাস্থ্য়মন্ত্রীর কাছেও একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য কিন্তু বলছে, গত আড়াই মাসে টিকাকরণের গতিবেগে দেশে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এমনকী, এই সময়ের মধ্যে বাংলায় করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ়ও নষ্ট হয়নি। পক্ষান্তরে যে রাজ্যগুলি বাংলার তুলনায় বেশি টিকা পায় (উত্তর প্রদেশ, বিহার), সেখানে টিকা নষ্ট হওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে গত ১ মে থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে টিকাকরণের নিরিখে রাজ্যগুলির পারফর্মেন্স তুলে ধরা হয়। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, এই আড়াই মাস সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে করোনা টিকার একটি ডোজ়ও নষ্ট হয়নি। গোটা দেশে টিকাকরণের নিরিখেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্য। এই সময়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় মিলিয়ে মোট ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৪৭ টি ডোজ় দেওয়া হয়েছে বঙ্গে। প্রথম স্থানে অবশ্য রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে মোট ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৪৩ টি ডোজ় প্রয়োগ করা হয়েছে। এই দুই রাজ্যই টিকার কোনও ডোজ় নষ্ট করেনি এই আড়াই মাসে। তৃতীয় সর্বোচ্চ টিকাকরণ হয়েছে গুজরাটে। সেখানে একই সময় মোট ৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৮১৯ টি টিকা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের থেকেও বিহারের জন্য বেশি করোনা টিকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের দস্তাবেজ বলছে, সেই বিহারেই এই সময়ে সর্বাধিক করোনা ভ্যাকসিন নষ্ট করা হয়েছে। আড়াই মাসে বিহারে মোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৪৩ টি ডোজ় নষ্ট হয়েছে। ভ্যাকসিনের ডোজ় নষ্ট করার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জম্মু কাশ্মীর। ৩২ হাজার ৬৮০ টি ডোজ় নষ্ট হয়েছে কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে। ভ্যাকসিন নষ্ট করার তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা হয়েছে ত্রিপুরার। মোট ২৭ হাজার ৫৫২ টি ডোজ় নষ্ট হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। উত্তর প্রদেশে টিকা নষ্ট হয়েছে ১৩ হাজারের বেশি। আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীকে ‘বিশেষ আবেদন’ শুভেন্দুর, শাহি-দুয়ারে গিয়ে জল্পনা বাড়ালেন সৌমিত্রও