নয়া দিল্লি : সরকারি চাকরির মধ্যে ভারতীয় রেলের নিয়োগের দিকে তাঁকিয়ে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা হল রেল। ভারতীয় রেলের বিভিন্ন শাখায় নিয়ম করে প্রতি বছর চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পান একাধিক প্রার্থী। কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের হতাশ করে ভারতীয় রেলের একাধিক পদ বাতিল করা হয়েছে। প্রায় ৮২ হাজার পদ বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেখানে সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী গত ৬ বছরে ৭২ হাজারেরও বেশি পদ বিলুপ্ত হয়েছে ভারতীয় রেলে। এর মধ্যে রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি অর্থাৎ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদমর্যাদার। এর মধ্যে পিওন, ওয়েটার, ঝাড়ুদার, মালি ও প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকার পদও রয়েছে এর মধ্যে।
সব জ়োনাল রেলওয়েতে ৮১ হাজার পদ বাতিলর প্রস্তাব করা হয়েছে। ১.৫ লক্ষের বেশি পদে ভবিষ্যতে আর কখনও নিয়োগ হবে না। এছাড়াও সরকারি সিদ্ধান্তে বাতিলের কথা উঠেছে ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদের। রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় রেলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করা হয়েছে। সেই কারণে বাতিল হওয়া পদগুলির প্রয়োজনীয়তা কমেছে। রেলের মতে, ভারতীয় রেলের পরিচালনায় এই প্রস্তাবিত বাতিল পদগুলির সেরকম প্রয়োজনীয়তা নেই। এবং এই পদগুলিতে যদি কেউ কর্মরত থাকেন রেলের বিভিন্ন বিভাগে তাঁদের নিয়োগ করা হবে।
রেলের পদ ছাঁটাইয়ের প্রভাব :
দক্ষ কর্মী কমালে কমবে রেলের সক্ষমতা।
রেলের উৎপাদনশীলতা কমবে।
চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে নিরাপত্তা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝঁকির মুখে পড়তে পারে রেল যাত্রীদের জীবন।
ভারতীয় রেলে ১৫ লক্ষ অনুমোদিত পদ রয়েছে। তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজারে।
প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ। প্রশ্ন উঠছে কর্মচারীদের দায়বদ্ধতা নিয়েও।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে বড়সড় প্রভাব পড়েছে চাকরির বাজারে। চাকরি হারিয়েছেন একাধিক নাগরিক। দেশের মুদ্রাস্ফীতিতে নাভিঃশ্বাস মধ্যবিত্তদের। এই বাজারে রেলের পদ বাতিল যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ হতে পারে দেশের উৎপাদন ক্ষমতার জন্য। যদিও এ যুক্তি মানতে নারাজ রেল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, বাতিল করা পদগুলিতে আগে থাকতেই কোনও কর্মী ছিল না। তাই পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া না করে বাতিল করা হয়েছে এই ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদগুলিকে।