Kejriwal arrest: কালই তোলা হবে কোর্টে, মুক্তির কী কী পথ খোলা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সামনে?
Kejriwal arrest: এদিন আদালতে, কেজরীবালের অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণের আবেদনের মামলা, আদৌ রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য কিনা সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন ইডির আইনজীবী। তবে, কেজরীবালের গ্রেফতার আইনগত পরিস্থিতির পাল্টে দিয়েছে। এখন তাঁর সামনে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন কোন রাস্তা খোলা আছে?

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারই (২১ মার্চ), দিল্লি হাইকোর্টে ইডির গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট। তবে, এই বিষয়ে ২২ এপ্রিল আরও আলোচনা করবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তার আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এদিন আদালতে, কেজরীবালের অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণের আবেদনের মামলা, আদৌ রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য কিনা সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন ইডির আইনজীবী। তবে, কেজরীবালের গ্রেফতার আইনগত পরিস্থিতির পাল্টে দিয়েছে। এখন তাঁর সামনে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন কোন রাস্তা খোলা আছে?
আগে থেকেই গ্রেফতারির আশঙ্কা করছিলেন কেজরীবাল-সহ আপ নেতারা। তাই আদালতে তিনি আবেদন করেছিলেন, ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না, এই আশ্বাস দিতে হবে ইডিকে। কিন্তু এদিন আদালতে, ইডির আইনজীবী বলেন, ঘোড়ার আগে গাড়িকে রাখা যায় না। মামলাটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য কিনা, সেই বিষয়ে আদালতকে আগে আমাদের কথা শুনতে হবে। তার আগে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ দেওয়া যাবে না। তবে, গ্রেফতার হওয়ার পর এখন কেজরীবালকে তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
আপ নেতারা এবং কেজরীবালের আইনি দল, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের জরুরি শুনানি চেয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট তাতে রাজি হয়নি। কাজেই, সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরাসরি ত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা বিশেষ নেই বলেই মনে হচ্ছে। তাই, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি আশ্রয়ের বিকল্প উপায়গুলি খুঁজতে হবে।
প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে নিম্ন আদালত থেকে জামিন চাওয়া। সেখানে সুরাহা না হলে, তাঁর দ্বিতীয় বিকল্প হবে তাঁর গ্রেফতারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা। তবে, এর আগে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে একই ধরণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে উচ্চ আদালত। কেজরীবালকেও সমান কঠিন লড়াইয়ের মোকাবিলা করতে হতে পারে। এদিন রাতে তো কোনও সম্ভাবনা নেই। ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, কেজরীবালের আইনি দল আগামীকালই এক জরুরি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই তারা প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত করার জন্য খুব অল্পই সময় পাবে।
তবে, তাঁর জন্য একটাই আশার আলো, তা হল সুপ্রিম কোর্টের এক সাম্প্রতিক নির্দেশ। এই নির্দেশ অনুসারে, কেজরীবালকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল, ইডিকে তা আদালতে জানাতে হবে। ইডি যথেষ্ট যুক্তি-প্রমাণ দিতে পারলে, কেজরীবালের বিপদ বাড়বে। সূত্রের খবর, শুক্রবার (২২ মার্চ), দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীকে এক বিশেষ পিএমএলএ আদালতে হাজির করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরীবালকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি। পিএমএলএ আইনে একবার বন্দি হলে জামিন পাওয়া যায় না।
