WIFF: চুক্তি চূড়ান্ত হলেই জানবে দেশ, প্রকাশ্যে আসবে সব, বড় কথা সামনে আনলেন পীযূষ গোয়েল

Piyush Geol: একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, "যখন একজন কমান্ডার বিমান ওড়ান, তখন তিনি অস্থির পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সিট বেল্ট পরার নির্দেশ দেন। সবকিছু স্বাভাবিক হলে তবেই বিশ্রাম কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।"

WIFF: চুক্তি চূড়ান্ত হলেই জানবে দেশ, প্রকাশ্যে আসবে সব, বড় কথা সামনে আনলেন পীযূষ গোয়েল
Image Credit source: TV9 Network

Mar 29, 2025 | 1:25 PM

নয়া দিল্লি: সম্প্রতি বিশ্বে যে ‘শুল্ক যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে কথা বললেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। TV9 নেটওয়ার্কের গ্লোবাল সামিটে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে মন্ত্রীর মুখে উঠে আসে শুল্ক বা ট্যারিফ প্রসঙ্গ।

দ্বিতীয়বার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা এবং মেক্সিকো সহ একাধিক দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতের উপর শুল্ক আরোপ করতে চলেছেন। আর তাকেই বলা হচ্ছে ‘ট্রাম্প ট্যারিফ’ বা ‘শুল্ক যুদ্ধ’ বলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত কতটা প্রস্তুত, সে কথাই এদিন উল্লেখ করেছেন পীযূষ গোয়েল।

পীযূষ গোয়েল বলেন, “যে কোনও দেশের জন্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন একটি জটিল বিষয়। ভারত বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু সে সব বিষয় নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা করা যায় না।” তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, নিশ্চিত করেছেন যে দেশের বাণিজ্য চুক্তিগুলি সঠিক পথেই রয়েছে। বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হলে, কেন্দ্রীয় সরকার সেই বিষয় প্রকাশ্যে আনবে বলে জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন, যখনই ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়, তখন অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। নিজের দেশের অগ্রাধিকারের পাশাপাশি অন্য দেশের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সবদিক মাথায় রেখে ভারতের আলোচনা সবসময় সঠিক পথেই এগোয়। কখনও সঠিক পথ থেকে সরে যায় না।

একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “যখন একজন কমান্ডার বিমান ওড়ান, তখন তিনি অস্থির পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সিট বেল্ট পরার নির্দেশ দেন। সবকিছু স্বাভাবিক হলে তবেই বিশ্রাম কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।” তাঁর মতে, কখনও কখনও বাণিজ্য আলোচনাতেও এই ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়, কিন্তু ভারতের বর্তমান কমান্ডার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানেন দেশের জন্য নিরাপদ অবতরণই অগ্রাধিকার।