বালেশ্বর: ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশন এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি – তিনটি ট্রেন পড়ছে এই দুর্ঘটনার কবলে। ইতিমধ্যেই অন্তত ৩০ জন মৃত এবং শতাধিক আহত বলে জানা যাচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্ত, কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, মালগাড়িটির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লেগেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। কিন্তু, প্রাথমিক তদন্তের পর রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখোমুখি নয়, তিনটি ট্রেনেই ধাক্কা লেগেছিল পাশাপাশি। আর তাতেই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দিল্লির রেলের সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওড়িশার বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে যখন ট্রেনটি পৌঁছয় সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসছিল যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস। সুপারপাস্ট করমণ্ডল এক্সপ্রেস বেশ গতিতে চলছিল। তবে, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসের গতি খুব বেশি ছিল না। দুটি ট্রেন পাশাপাশি একে অপরকে অতিক্রম করার সময়, কোনও ভাবে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছিল এবং পাশ থেকেই ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। সেই ধাক্কায় লাইন থেকে ছিটকে যায় প্রচণ্ড গতিতে থাকা করমণ্ডল এক্সপ্রেসও। রেল কর্তাদের অনুমান, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের পাশের ট্র্যাকে ছিল আরেকটি মালগাড়ি। সেই মালগাড়িটিকে পাশাপাশিই ধাক্কা মারে লাইনচ্যুত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়িটির উপরে উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন।
রেল জানিয়েছে, যে গতিতে ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনই দুটি, তাতে মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে কখনও একটি ট্রেনের উপর আরেকটি ট্রেন উঠে যেত না। এরপর রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরই তারা বুঝতে পারেন, কোনও ট্রেনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগেনি। ধাক্কা লেগেছে পাশাপাশি। তবে, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কীভাবে লাইনচ্যুত হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের তদন্ত কমিটির সদস্যরাও। তাদের তদন্তের পরই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।