Maharashtra Political Crisis : উদ্ধব সরকারের সিঁদ কেটে শিন্ডে পারবে বিজেপির সুবিধা করতে? কী বলছে অঙ্ক?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jun 21, 2022 | 10:01 PM

Maharashtra Political Crisis : মহারাষ্ট্রের নগরোন্নায়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের পদক্ষেপ ঘিরে নয়া মোড় নিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নিজের ঘর গোছাতে পারে বলে সম্ভবনা।

Maharashtra Political Crisis : উদ্ধব সরকারের সিঁদ কেটে শিন্ডে পারবে বিজেপির সুবিধা করতে? কী বলছে অঙ্ক?
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা

Follow Us

মুম্বই : মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতি এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে। সূত্রের খবর, শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে সহ ২২ জন বিধায়ক বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে একটি হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন। শিন্ডের এই পদক্ষেপে রাজ্যে মহাবিকাশ অগাড়ি (Maha Vikas Agadhi) জোটের ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে। এদিকে বিদ্রোহী শিন্ডেকে ইতিমধ্যেই পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজয় চৌধুরিকে। বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার অভিযোগ করেছেন, এই নিয়ে তৃতীয়বার মহারাষ্ট্রের শাসক সরকারকে ফেলার চেষ্টা করেছে বিজেপি।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার অঙ্ক :

এই পরিস্থিতিতে শিবসেনার ২২ জন বিধায়কের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য়, মহারাষ্ট্রের বিধানসভার অঙ্কটা খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে এমতাবস্থায় কার পাল্লা ভারী। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আসন সংখ্যা ২৮৮। একজন বিধায়ক মারা যাওয়ায় এখন অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ২৮৭ তে। সেক্ষেত্রে বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য বর্তমানে প্রয়োজন ১৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন। বর্তমানে মহাবিকাশ অগাড়ি (শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস) জোটের রয়েছে ১৫২ জন বিধায়ক। বিরোধী শিবির বিজেপির দাবি তাঁদের কাছে রয়েছে ১৩৫ জন বিধায়কের সমর্থন। এবার একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে জোট শিবিরের ‘বেপাত্তা’ বিধায়করা যদি বেরিয়ে যান সেখানে সেনার বিধায়ক সংখ্যা এসে দাঁড়াবে ৩৪ এ। এর ফলে বিধানসভায় জোট সরকারের ক্ষমতা হবে ১৩০। ২২ জন বিধায়ক বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করলে বিধানসভার সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য থাকতে হবে ১৩৩ জন বিধায়ক।

সম্ভাব্য পরিস্থিতি :

এক্ষেত্রে দুটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। শিবসেনার বিধায়করা পদত্যাগ করতে পারেন। তাতে সরকার পড়ে যেতে পারে। কিন্তু দুই তরফের কারোর কাছেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করার মতো বিধায়ক সংখ্যা থাকবে না। ফলে এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর হতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক্ষেত্রে আবারও কিং মেকারের ভূমিকা পালন করতে পারেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে মূল ভূমিকা পালন করবেন তিনি।

এদিকে বিজেপির দাবি অনুযায়ী যদি তাঁদের কাছে ১৩৫ জন বিধায়কের সমর্থন থাকে তাহলে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

Next Article