নয়া দিল্লি: সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সটান ভিতরে চলে গেলেন দুই ব্যক্তি। সাংসদদের চমকে গিয়ে সোজা এগিয়ে গেলেন সোজা স্পিকারের দিকে। গত বুধবারের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। নিরাপত্তার একাধিক স্তরে মুড়ে রাখা সংসদ ভবনে কীভাবে প্রবেশ করলেন অভিযুক্তরা, সেই প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে এখন। তবে তাঁরা কেন করলেন এমন? যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রায় বছর দেড়েক ধরে পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হয়েছে।
এত পরিকল্পনা যখন করা হয়েছে, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল। শুক্রবার আদালতে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ললিত ঝা ও তাঁর সঙ্গীরা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যাতে তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হয়।
ঘটনার দিন সংসদ ভবনের ভিতর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামে দুজনকে। আর বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় নীলম দেবী ও আমোল শিন্ডেকে। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ললিত ঝা। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে পুলিশ জানিয়েছে, ললিত ঝা-র কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনি বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন, ঘটনার প্ল্যানিং করেছেন। বেকারত্বই কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ললিত ঝা।
পুলিশ ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে চাইছে তদন্তের স্বার্থে। পুলিশ মনে করছে এই সংসদ হানার পিছনে রয়েছে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই পুনর্নিমাণের আর্জি জানাতে চায় পুলিশ। আপাতত সিসিটিভি ফুটেজের প্রতিটি পিক্সেল চেক করছে পুলিশ। মোবাইলের ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।