নয়া দিল্লি: বীরভূমের বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে ইডি-ও। দুই সংস্থার হাতেই গ্রেফতার হন তিনি। একে একে সব মামলা থেকেই জামিন পেয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট। মনে করা হচ্ছে তাঁর ঘরে ফেরা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। যাঁর নামে নাকি বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত, সেই কেষ্ট মণ্ডলকে জেলে যেতে দেখে অনেকেই বলেছিলেন খাঁচায় ঢুকেছে বাঘ। কিন্তু কেন এমন একজন দাপুটে নেতাকে যেতে হল জেলে?
-গরু পাচার-কাণ্ডে ৪১ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। সায়গল হোসেন, ইলামবাজারের গরু হাটের মালিক আব্দুল লতিফ ও বিকাশ মিশ্রের নাম ছিল সেখানে। অভিযোগ ছিল, অনুব্রত মণ্ডলের নামেই যেত গরু পাচারের টাকা। সেই টাকা নাকি অনুব্রতর হয়ে নিতেন সায়গল হোসেন। মূলত সায়গল ছিলেন দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম।
-অভিযোগ ছিল, অনুব্রতর আয়ের সঙ্গে ব্যায়ের মিল নেই। তাঁর ও তাঁর মেয়ের নামে থাকা একাধিক রাইস মিল ও জমির খোঁজ পেয়েছিল ইডি ও সিবিআই।
-সূত্রের খবর, যে পরিমাণ আয় তিনি করতেন, তার থেকে অনেক কম আয়কর জমা করা হত। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের জেরে অনুব্রতর বীরভূমের বাড়িতে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছিল।
-পিএমএলএ আইনে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইডি। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগেই মামলা করেছিল ইডি। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে।