নয়া দিল্লি: গত শুক্রবারের মুলতবির পর, সোমবার (১ অগস্ট) ফের শুরু হল লোকসভার বাদল অধিবেশনের কার্যক্রম। আর এদিন যাবতীয় প্রচারের আলো কেড়ে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। লোকসভায় দাঁড়িয়ে বারাসাতের সাংসদকে এদিন প্রথমে একটি কাঁচা বেগুন দেখালেন, তারপর তাতে বসালেন কামড়! মূল্যবৃদ্ধির নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এই অদ্ভূত কাণ্ড ঘটালেন। কাঁচা বেগুনে কামড় আসলে রান্নার গ্যাসের উচ্চ মূল্যের বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদ। কাকলি দাবি করেন, গ্যাসের দাম এতটাই বেড়েছে যে দরিদ্রদের কাছে রান্না করাটাই এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই বারংবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি করেছেন বিরোধী সাংসদরা। এর জন্য চার কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। এর আগে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীদের হট্টগোলে দুই বার স্থগিতও করতে হয়েচে অধিবেশনের কাজ। এরপর, এদিন লোকসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তার জন্য ‘চেয়ারকে’ ধন্যবাদ জানান, কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তবে এও বলেন যে, বিতর্কটি শুরু করতে অনেক দেরি করা হল। এরপরই, তিনি রান্নার গ্যাসের উচ্চমূল্যের প্রসঙ্গে ঢুকে পড়েন।
বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ লোকসভায় প্রশ্ন করেন, “সরকার কি চায় আমরা কাঁচা শাকসবজি খাই?” এরপরই তিনি একটি কাঁচা বেগুনে কামড় বসিয়ে বোঝাতে চান, রান্নার গ্যাসের দাম এতটাই বেড়েছে যে, কাচা খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। তিনি আরও জানান, গত কয়েক মাসের মধ্যে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম চারবার বাড়ানো হয়েছে। ৬০০ টাকা থেকে কয়েক মাসে দাম পৌঁছেছে ১১০০ টাকায়। এই পরিস্থিতিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানোর দাবি করেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
#WATCH: TMC MP Kakoli Ghosh Dastidar bites into raw brinjal in Parliament#Brinjal #Parliament #India #Viral #News #Breaking #KakoliGhoshDastidar #WestBengal #LokSabha #News #Trending #TMC pic.twitter.com/2Tz2AWdCBd
— Free Press Journal (@fpjindia) August 1, 2022
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেই শেষবার এলপিজির গ্যাস সিলিন্ডার দাম শেষ বার বাড়ানো হয়েছে। এক ধাক্কা প্রতি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে রান্নার গ্যাসের বাড়ানো হয়েছে আটবার। কলকাতায় ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের ভর্তুকিহীন দাম এখন ১,০৭৯ টাকা। প্রসঙ্গত, ভর্তুকিকৃত দামে রান্নার গ্যাস পান একমাত্র উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে গ্যাসের সংযোগ পাওয়া দরিদ্র পরিবারগুলি। বছরে ১২টি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে প্রতিটিতে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি পায় তারা। বাকিদের এই চড়া দামেই গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে।