নয়া দিল্লি: অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার যে সময় ধার্য হয়েছে, আজ বুধবার তার দ্বিতীয় দিন। সংসদে বক্তব্য রাখবেন শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের সাংসদেরা। তবে মঙ্গলবার থেকেই জল্পনা বাড়ছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিয়ে। কবে বক্তব্য রাখবেন তিনি? মঙ্গলবার সংসদে গেলেও কোনও কথা বলেননি। বুধবারও তাঁর যা কর্মসূচি আছে, তাতে রাহুল আদৌ আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাহুলের বক্তব্য নিয়ে কি কোনও বিশেষ রাজনৈতিক চাল চালতে চাইছে কংগ্রেস?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে তাঁকেই মুখ হিসেবে সামনে রাখতে চেয়েছে কংগ্রেস। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, আজ দ্বিতীয় দিনেই বক্তব্য রাখতে পারেন রাহুল। আর এক অংশের দাবি, তৃতীয় দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে বক্তব্য পেশ করতে পারেন রাহুল। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে আলোচনা পর্ব শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এদিন দুপুর ৩টেয় রাজস্থানে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি আছেন ওয়ানাড়ের সাংসদের। তাই বুধবার তিনি বলবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। পড়ে রইল আর একটা দিন।
কিন্তু রাহুলের বক্তব্যের ক্ষেত্রে এত দেরিই বা হচ্ছে কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে অঙ্ক কষেই। প্রথমত, রাহুল যদি বুধবার বক্তব্য় পেশ করেন, তাহলে বাকি সময়টাতে বিজেপি পাল্টা আক্রমণের অস্ত্রে শান দিতে পারবে সহজেই। সে ক্ষেত্রে রাহুলের তরফে শাসককে জবাব দেওয়ার জন্য ভরসা করতে হবে ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলির ওপর।
দ্বিতীয়ত, বিজেপির যে সব সাংসদেরা আলোচনায় অংশ নেবেন, তার মধ্যে তিন হেভিওয়েট মন্ত্রীর বক্তব্য এখনও বাকি। তাঁরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও নারী, শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বিপক্ষের মুখ রাহুল গান্ধীকে যে তাঁরা আক্রমণ করবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেটা আঁচ করেই সময় হাতে রাখছেন রাহুল! ওই তিন মন্ত্রীর বক্তব্যের পর রাহুলের পাল্টা জবাব দিতে সুবিধা হবে বলেই কি শেষ দিন ধার্য করা হচ্ছে? কোন হাতিয়ার নিয়ে ময়দানে নামবেন রাহুল, তা জানতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের আলোচনায় নজর রাখতে হবে।