Euthanasia: প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ রাজ্য সরকার, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন পুলওয়ামা হামলায় মৃত জওয়ানদের স্ত্রীর
Euthenasia: নিজেদের ন্যায্য দাবিতে ধর্নায় পুলওয়ামায় হত জওয়ানদের স্ত্রীয়েরা। তাঁরা রাজস্থানের রাজ্যপালের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনও জানিয়েছেন।
জয়পুর: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরের পুলওয়ামায় সেনার কনভয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। সেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় ভারতের ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। সেই স্মৃতি কেউ ভোলাতে পারেনি। এই ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার ৪ বছর পূর্তি হয়েছে। শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানদের বীরের সম্মান দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই হামলায় শহিদ হওয়া জওয়ানদের বাড়ির খবর কে রাখে? এই হামলায় হত তিন সিআরপিএফ জওয়ানের বিধবা স্ত্রী প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার অভিযোগ তুলেছেন রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁরা নিজেদের জীবন শেষ করে দেওয়ার জন্য রাজ্য়পাল কালরাজ মিশ্রের কাছেও অনুমতি চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ কিরোদি লাল মিনা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে নিহত জওয়ানদের পরিবারের সঙ্গে ধর্নায় বসে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ মিনা। এমনকী তিনি তাঁদের সঙ্গে রাজ ভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে একটি হলফনামাও জমা দেন বলে এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে। আর রাজ ভবন থেকে বেরিয়েই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে এগোতে থাকেন। কিন্তু তাঁদের সেই অভিযানে বাধা দেয় পুলিশ।
মিনা অভিযোগ করেছেন, সেখানে পুলিশ মহিলাদের ধাক্কা দেন এবং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই ধস্তাধস্তির ঘটনায় রোহিতাসাভ লাম্বার বিধবা স্ত্রী মঞ্জু জাট আহত হন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, শহিদদের পরিবারের দাবি পূরণের পরিবর্তে রাজ্য সরকার ‘একনায়কতন্ত্রের’ আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, “সম্প্রতি বিধানসভার গেটে প্রতিবাদ করার সময়ও পুলিশ তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল।” এদিকে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের কাছে দেওয়া আবেদনে মঞ্জু জাট, মধুবালা, সুন্দরী দেবী ও রেণু সিং ইউথেনেশিয়ার অনুমতি চেয়েছেন। বর্তমানে বিজেপি সাংসদ মিনা শহিদদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহিদ স্মারকে ধর্নায় বসে রয়েছেন।