Bilkis Bano : বিলকিস বানো মামলা নিয়ে জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Aug 23, 2022 | 2:13 PM

Bilkis Bano Case : বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের সাজা মকুবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন নারী অধিকার কর্মীরা। ১৬ অগস্ট এই মামলায় দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Bilkis Bano : বিলকিস বানো মামলা নিয়ে জারি রাজনৈতিক চাপানউতোর, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা

Follow Us

নয়া দিল্লি : বিলকিস বানোর ধর্ষণ মামলা নিয়ে সরগরম হচ্ছে গুজরাটের রাজ্য রাজনীতি। তার আঁচ দিল্লি অবধিও পৌঁছেছে। বিলকিস বানোর ধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। জনস্বার্থ মামলায় আবেদন করা হয়েছে, বিলকিস বানোর তাঁর ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। মহুয়া মৈত্রের পাশাপাশি এদিন সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন নারী অধিকার রক্ষা কর্মীরা। শীর্ষ আদালতে করা এই জনস্বার্থ মামলায় (PIL) বলা হয়েছে, দোষীদের এইভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণে এই মামলায় তারা ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত। দোষীদের কারামুক্তির নির্দেশ প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়ে এই মামলা করেছেন সুভাষিণী আলি, রেবতী লউল ও রূপরেখা ভার্মা। এদিকে

ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবল ও অ্যাডভোকেট অপর্ণা ভাট এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। কপিল সিবল জানিয়েছেন, দোষীদের সময়ের আগেই কারামুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘১৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’ নারী অধিকার কমিশনের এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একই আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে। প্রায় ৬ হাজার জন সমাজকর্মী, ইতিহাসবিদ দোষীদের শাস্তি মকুবের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে।

বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলা :

২০০২ সালের গুজরাট হিংসার ঘটনা। সেই সময় বিলকিস বানোর পরিবারের সাতজনকে হত্যা করা হয়। তাঁর তিন বছরের মেয়েকেও খুন করা হয়। সেই সময় বিলকিসের বয়স ছিল ২০ বছর। কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। সেই অবস্থায় তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় ২০০৮ সালের ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। গত ১৫ অগস্ট সেই দোষীদের সাজা মকুব করে কারামুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। ১৬ অগস্ট তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। এরপরই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে গুজরাটের বিজেপি সরকার।

Next Article