দেহরাদুন: বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করেই জোর করে মহিলাকে তুলেছিলেন গাড়িতে। কিন্তু তাদের মনে যে অন্য ফন্দি চলছিল, তা আন্দাজও করতে পারেননি ওই মহিলা। চলন্ত গাড়ির মধ্যেই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হলেন মহিলা। লালসা থেকে মুক্তি পেল না ছয় বছরের শিশুকন্যাও। মায়ের সঙ্গে মেয়েকেও ধর্ষণ করা হল। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। ধর্ষণের পর ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে একটি সরু খালের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে হরিদ্বারের রুরকির একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন ওই মহিলা। তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়েও। রাস্তাতে সোনু নামক এক যুবক তাঁদের বাড়ি অবধি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রথমে ওই মহিলা রাজি না হলেও, রাত হয়ে যাওয়ায় শেষ অবধি তিনি রাজি হয়ে যান। গাড়িতে অভিযুক্ত যুবক সোনু ছাড়াও আরও কয়েকজন যুবক ছিল।
কিছুদূর এগোতেই আসল রূপ ধরে অভিযুক্তরা। চলন্ত গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। নিস্তার পায়নি ছয় বছরের শিশুকন্যাও। তাকেও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাদের একটি সরু খালের কাছে ফেলে দেওয়া হয়। জ্ঞান ফেরার পর ওই মহিলা তাঁর সন্তানকে নিয়ে মধ্য়রাতে কোনওমতে স্থানীয় থানায় যান এবং সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ জানান।
রুরকির পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রমেন্দ্র দোভাল জানিয়েছেন, নির্যাতিতা কেবল একজন অভিযুক্তের নামই বলতে পেরেছেন। গাড়িচালক, যিনি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর নামই বলতে পেরেছেন নির্যাতিতা। গাড়িতে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির কয়েকজন বন্ধুও উপস্থিত ছিল। তবে গাড়িতে মোট কতজন ছিল, তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি ওই মহিলা।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে রুরকি সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।